এখন প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য : প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২২ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:২৯ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার

(ফাইল ফটো)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সামনে আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে। এ জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সংখ্যায় ‘কম হলেও’ বিএনপির নির্বাচিতদের শপথ নিয়ে সংসদে আসা উচিৎ। তাদের প্রস্তাব ও সমালোচনার ‘যথাযথ মূল্যায়ন’ করা হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই জয় ছিল প্রত্যাশিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের আগে দেশি-বিদেশি জরিপগুলোও এ রকমই ফলাফলের ইঙ্গিত দিয়েছিল। লন্ডন-ভিত্তিক ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স ইউনিট এবং রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের জরিপের ফল আপনারা লক্ষ্য করেছেন। আমাদের এই ল্যান্ড-স্লাইড বিজয়ের কয়েকটি কারণ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যারা আমাদের ভোট দেননি, আমি তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দল ও জোট এবং প্রার্থীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সবার ‘অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতায়’ বিশাল এ জয় সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
‘সুষ্ঠুভাবে’ নির্বাচন সম্পন্ন করায় নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সালাম জানাচ্ছি।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের কথা ‘গভীর বেদনার সঙ্গে’ স্মরণ করেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা।
১৯৫২ সালে ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের যে নেতাকর্মীরা নিহত হয়েছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের ‘অগ্নি সন্ত্রাস এবং পেট্রোল বোমায়’ যাদের প্রাণ গেছে তাদের সবার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকারি সেবা খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় জীবনের সর্বত্র আইনের শাসন সমুন্নত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করবো। জাতীয় সংসদ হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। বিজয়ী সংসদ সদস্যরা ৩ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রীকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এসএইচ/