ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ফাইনালে নাদাল-জোকোভিচ, এগিয়ে কে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার

শুক্রবার নোভাক জোকোভিচ যে দাপট দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠলেন, ভাবা যায় না। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন লুকাস পুইকে হারিয়ে ফাইনালে জোকোভিচই উঠছেন, কিন্তু সেটা এত অনায়াসে আসবে ভাবা যায়নি।

দেড় ঘণ্টাও লাগল না জোকোভিচের জিততে। স্কোর ৬-০, ৬-২, ৬-২। রড লেভার এরিনায় অনেকে দর্শকাসনে গুছিয়ে বসতে না বসতেই ৫-০ এগিয়ে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। একেবারে ইঞ্চি মাপা শটে ২৮ নম্বর বাছাইকে বিশেষত কোণাকুনি আক্রমণ করে গেছেন তিনি। সাতবার প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভেঙেছেন কিন্তু কখনও মনে হয়নি প্রতিপক্ষ ওর সার্ভিস ভেঙে দিতে পারেন।

এবার বহু প্রতীক্ষিত ফাইনাল! জোকোভিচ বনাম নাদাল। সাতবছর আগে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই দু’জনের মহাকাব্যিক পাঁচ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটের ফাইনালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এ বারও ঠিক সে রকমই দ্বৈরথের অপেক্ষায় টেনিস বিশ্ব। মঞ্চটাও তৈরি। দু’জনেই সেরা ছন্দে রয়েছেন। অনেকে অবশ্য জোকোভিচকেই এগিয়ে রাখছেন এই লড়াইয়ে। যে রকম ২০১২-র দ্বৈরথে জোকোভিচ জিতেছিলেন।

আসলে এই ফাইনালে মুখোমুখি এক এবং দুই নম্বর। একজনের দখলে ১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম, অন্য জনের ১৪। রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জোকোভিচের মধ্যে ৫৩তম সাক্ষাৎ হতে চলেছে। এই দ্বৈরথ কিন্তু টেনিস ক্লাসিকের অংশ। দু’জনেই তাদের সেমিফাইনালে দেখিয়ে দিয়েছে, কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে। এখনও যে ওদের সঙ্গে টেনিস দুনিয়ার বাকি প্রতিপক্ষদের কত ব্যবধান, দু’টি সেমিফাইনালই তার প্রমাণ। একটা ব্লকবাস্টারই আশা করা যাচ্ছে আগামীকাল রোববার। টেনিস ভালবাসে এমন কেউ এই ম্যাচ থেকে দূরে থাকতে পারবে না। বিশেষ করে নাদাল যেভাবে দীর্ঘ সময় বাইরে থাকার পরেও দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছে, তা দেখে যে কেউ অবাক হবেন।

এ ছাড়া জোকোভিচ কিন্তু নাদালের চেয়ে একদিন কম বিশ্রাম পাচ্ছেন। যার জন্য কিছুটা হলেও সুবিধা পাবেন নাদাল।

দু’জনেই দুরন্ত অ্যাথলিট। চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা একইভাবে খেলতে পারেন। অবশ্য এবার ফাইনালটা পাঁচ-ছ’ঘণ্টা চলার সম্ভাবনা কম। কারণ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ‘সুপার টাইব্রেক’ নামে নতুন নিয়ম চালু হয়ে গেছে। যে নিয়মে পঞ্চম সেটে ৬-৬ গেমে চলে এলে ১০ পয়েন্টের টাইব্রেক হবে। টাইব্রেক জিততে হলে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে দু’পয়েন্টে এগিয়ে থাকতে হবে। তবে যদি ১০-১০ পয়েন্ট হয়ে যায়, তাহলে সেট জিততে ১২-১০ করতে হবে।

অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এই নতুন নিয়মে কে বেশি সুবিধা পাবেন? নোভাক না নাদাল? কে কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেলতে পারেন? দু’জনেই যেহেতু পরস্পরকে কোর্টে খুব ভাল করে জানেন, তাই নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চাইবেন রোববারের ফাইনালেও।

নোভাককে বলা হয় ‘কাউন্টার পাঞ্চার।’ ওর রক্ষণ দুরন্ত। তার সঙ্গে বড় গুণ হল, রক্ষণাত্মক শটকেও আক্রমণে বদলে দিতে পারেন। তবে নাদালের ফোরহ্যান্ডও অনেক উন্নত হয়েছে। তাই ফাইনালে ফোরহ্যান্ড যদি ঠিকঠাক জায়গায় রাখতে পারেন তাহলে নাদালই এগিয়ে থাকবেন।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//