ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

অংশগ্রহণমূলক ডাকসু নির্বাচন চান শেখ হাসিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৬ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:৪০ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার

সব ছাত্রসংগঠনের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠিা বার্ষকীর ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ঘরোয়া বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের কিছু ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে দিক-নির্দেশনা দেন। সব ছাত্রসংগঠনের অংশগ্রহণে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। তিনি দলীয় নেতাদের প্রকি ঘরোয়া মিটিংয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।

তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কী নির্দেশনা দিয়েছেন উপস্থিত কোনো নেতা কথা বলতে রাজি হননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে ফোন করা হলে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

প্রসঙ্গত, ৪টা জানুয়ারি ছাত্রলীগের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে স্থগিতের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। শনিবার স্থগিত কর্মসূচি পালন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একমাত্র ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

প্রায় ২৯ বছর পর শিক্ষার্থীদের বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগামী ১১মার্চ ডাকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উৎসাহ ও গতিশীলতা লক্ষ করা গেছে। ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর এই প্রথম সংগঠনের শীর্ষ নেতারা গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ পায়। তাই প্রধানমন্ত্রীও ঘরোয়া সাক্ষাতে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেন।

উপস্থিত সূত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সংগঠনের মাধ্যমে একটি মনোনয়ন বোর্ড গঠন করার নির্দেশনা দেন। এই বোর্ডের মাধ্যমে ছাত্রলীগ প্যানেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) ও জেনারেল সেক্রেটারি মনোনীত করার কথা বলেন। আর ডাকসু নির্বাচন মনিটরিং করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সে কথা জানিয়ে দেন।

 

 

টিআর/