ঢাকা, শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

দুদকের জালে আটকা পড়ে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫২ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার

ভূমি অফিস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজর এবার শিক্ষা খাতে। শুরুতেই দুদকের জালে আটকা পড়ে বরখাস্ত হলেন মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নূরজাহান হামিদা। ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও হয়রানির অভিযোগে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার হটলাইন ১০৬-এ অভিযোগ পেয়ে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। এ সময় অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা শিক্ষার্থী ভর্তির সময় বিনা রশিদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে আদায় করেছেন। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানদের বিনামূল্যে ভর্তির নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদক হটলাইনে (১০৬) ভুক্তভোগী অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী তাৎক্ষণিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশ পাওয়ার পর দুদকের সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা ও উপ-সহকারী পরিচালক সবুজ হাসানের সমন্বিত টিম এ অভিযান চালায়।

অভিযানে দেখা যায়, অভিভাবকদের কাছ থেকে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা বাধ্যতামূলকভাবে বিনা রশিদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। এমনকি হতদরিদ্র ব্যক্তিদের সন্তানদেরও বিনামূল্যে ভর্তি করানো হয়নি বরং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে ভর্তি বাবদ ওই প্রধান শিক্ষক এভাবে পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু এসব টাকার কোনো হিসাব রাখা হয়নি। প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা দুদক টিমের কাছে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকারও করেন।

 

এসএইচ/