আইনজীবী রথিশচন্দ্র হত্যায় স্ত্রীর ফাঁসির রায়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৭ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:১৮ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

রংপুরের আইনজীবী রথিশচন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনাকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রী দীপা ভৌমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এ মামলায় জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক দীপার উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার আগে কড়া পুলিশ পাহারায় এ মামলার আসামি দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধা সরকারকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রংপুর আইনজীবী সমিতির শতাধিক সদস্য আদালতে ছিলেন। মামলার অপর আসামি দীপার প্রেমিক কামরুল গত নভেম্বরে মারা যান।
রথিশ জাপানি নাগরিক হোশিও কুনি হত্যা মামলার বিশেষ পিপি ছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ রংপুর জেলা কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রংপুরের সভাপতি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। রথিশ-দীপার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে ছেলে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। আর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত বছর ৩ এপ্রিল রংপুর শহরের তাজহাট মোল্লাপাড়ায় রথিশের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে রথিশের লাশ বালুচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে র্যাব।
এর আগে রথিশের স্ত্রী দীপা ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ৩০ মার্চ ভোরে নগরীর বাবুপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে বের হয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে শহরের দিকে রওনা হন রথীশ।
তার ‘নিখোঁজের’ খবরে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে দীপা ও তার সহকর্মী স্কুলশিক্ষক কামরুল ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
দীপা ও কামরুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা বিয়ে করার জন্য রথীশকে হত্যা করেন বলে আদলতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দুই আসামিই তাজহাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে কামরুল গত ১০ নভেম্বর মারা যান। তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য।
এসি