ঢাকা, শনিবার   ১১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

আমরা সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন টিআইবিকে দুদক চেয়ারম্যান  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৬ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:১৮ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

দুদক দুর্নীতি প্রতিরোধ কাজে দুর্বল প্রতিষ্ঠান ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না- টিআইবির এমন অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দুর্বল বলাটা বরং ওনারাই দুর্বল। আমরা সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। আজ পর্যন্ত আমি কখনওই বলি নাই যে আমরা স্বাধীন নই।    

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় দুদক চেয়ারম্যান একথা বলেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রতিবছরই টিআইবি এই রিপোর্ট তৈরি করে, টিআইবিকে অনেক আগেও আমরা বলেছি যে আপনারা আপনাদের মেথডলজি আমাদের জানান। আপনারা ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার দিয়ে বলেন। আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি, পেলে ভালো হতো। আপনাকে ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার দিয়ে বলতে হবে দুর্নীতি এভাবে কমেছে।

তিনি বলেন, আপনি যখন কাউকে জিজ্ঞাসা করবেন ভাই দেশে কোনো দুর্নীতি আছে কি-না, তখন সে বলবে হ্যাঁ, হ্যাঁ, দেশে অনেক দুর্নীতি। কিন্তু এটা তো সত্য সারাদেশে দুর্নীতির ব্যাপারে জনসাধারণ সচেতন হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যারা দুর্নীতির কাছাকাছি থাকেন বা যাদের সুযোগ থাকে, আমরা তো মনে করি তারা অনেক সচেতন হয়েছে। এই সচেতনতাই প্রমাণ করে দুর্নীতি আসলে, এটা নিম্নগতির দিকে।

তিনি বলেন, পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইন আমাদের শিরোধার্য। সেটাকে পরিবর্তন করার কোনো ইচ্ছা বা উদ্যোগ আমাদের নাই। পার্লামেন্ট হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য। জনগণের ইচ্ছায় তৈরি হওয়া আইন পরিবর্তন করার জন্য কোনো উদ্যোগ দুদক নেবে না। দুদকের স্বাধীনতা খর্ব করে এমন কোনো আইন আজ পর্যন্ত হয় নাই। কাউকে ধরা বা কাউকে প্রসিকিউট করার ক্ষেত্রে আমাদের কেউ বাধা দেয় নাই।

টিআইবিকে পরামর্শ দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা সরকার বা রাষ্ট্রের বা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ভালো কাজটা আপনারা মূল্যায়ন করবেন। প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো কাজগুলোকে যদি আপনি না বলেন, শুধু খারাপটাই বলতে থাকেন তাহলে সেটা আর প্রতিষ্ঠান হতে পারবে না। টিআইবি তখনই একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে পরিণতি হবে যখন টিআইবি ভালো-খারাপ দুইটাই বলবে।

অর্থপাচার সম্পর্কে তিনি বলেন, অর্থপাচার সারাবিশ্বের সমস্যা, যে কারণে সব দেশেই মানিলন্ডারিং আইন পাস হয়েছে। আমরা দুর্নীতি বন্ধ করতে পারব না, আমরা দুর্নীতি কমাতে পারব। জনগণকে সচেতন করতে পারব। এখন কথা হচ্ছে যে সেই সচেতনতা বৃদ্ধিতে, দুর্নীতি কমাতে আমাদের কমিটমেন্ট আছে কি-না, রাজনৈতিক কমিটমেন্ট আছে কি-না সে জিনিসগুলো আমাদের দেখতে হবে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শুধু টিআইবির রিপোর্ট দিয়ে তো আর কাজ হবে না। আর শুধু দুর্নীতি দমন কমিশন দিয়ে দুর্নীতি কমানো, সেটাও হয়তো সম্ভব না। সবাই মিলে একসঙ্গে সমন্বিতভাবে যদি কাজটা না করি সেক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন বা কমানো সম্ভব না।   

এসি