বেড়েছে মানুষের আয় , বৈচিত্র্য এসেছে খাদ্যাভাসেও
প্রকাশিত : ০৩:০২ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৩:০২ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার
খাদ্যে স্বর্নিভর বাংলাদেশে মানুষের আয় বেড়েছে। বৈচিত্র্য এসেছে খাদ্যাভাসেও। ভাত প্রধান খাদ্য হলেও, এসব বিকল্প খাদ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। স্বভাবতই, কমছে চালের ওপর নির্ভরশীলতা। আর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সীমিত জমিতেও প্রয়োজনীয় পরিমাণ ধানের উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এ ধারা তিন দশক অব্যাহত থাকবে বলে মত কৃষি গবেষকদের। এতে, উৎপাদন না বাড়লেও ২০৫০ সাল পর্যন্ত চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকছে দেশ।
মাছে ভাতে বাঙালী; এ প্রবাদ বাক্যই বলে দেয়, এ দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। সময়ের পরিক্রমায় জনসংখ্যা বাড়লেও, কমছে আবাদি জমি। সদ্য স্বাধীন দেশে’র সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যার স্থলে এখন, প্রায় ১৬ কোটি মানুষের মুখে তুলে দিতে হচ্ছে, খাদ্য। কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, কৃষি প্রযুক্তি ও গবেষণায় উন্নতি এবং কৃষিখাতে নানা প্রণোদনার মতো কৃষিবান্ধব উদ্যোগের কারণেই কম জমিতে অধিক ফলনের মাধ্যমে খাদ্যের যোগান ঠিক রাখা সম্ভব হয়েছে।
একই সময়ে বৈচিত্র্য এসেছে খাদ্যাভাসেও। শাক-সবজি, শস্য, মাছ, পোল্ট্রি কিংবা ডেইরী- সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে উৎপাদন। আর তাই, একক প্রধান খাদ্য হিসাবে ভাতের উপর নির্ভরশীলতা কমছে।
ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা’ তথ্য, ২০২০ থেকে ২০৫০- এই তিন দশকে, চালের চাহিদা কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে, ২০২০ সালে চালের উৎপাদন হবে ৪২.৫ মিলিয়ন টন; ২০৫০ সালে তা দাঁড়াবে ৪৪.৮৯ মিলিয়ন টনে। মাথাপিছু ৪ শ ১৯ গ্রাম খাদ্য গ্রহণের হিসাবে, তিন দশক পরে জনসংখ্যা সাড়ে ২২ কোটি হলেও, সামাল দেওয়া সম্ভব তাদের খাদ্যের চাহিদা।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ২০৫০ সালে চালের চাহিদা কমবে, ১৪ ভাগ। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের খাদ্য ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা নেই বলে মনে করেন এই কৃষিবিদ।
খাদ্যে বৈচিত্র্য আসছে; তাই, চাল ডাল ভূট্টার মতো খাদ্যশস্য উৎপাদনে বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে, ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শংকার কোনো কারণ নেই বলে মত সংশ্লিষ্টদের।