ঢাকা, সোমবার   ১৮ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৩ ১৪৩২

‘কোনভাবেই যেন প্রশ্নফাঁস না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৪ এএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০১:৫৪ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

কোনভাবেই যেন প্রশ্নফাঁস না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দেশের দশটি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে আজ শনিবার সকালে শুরু হওয়া ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, যদি প্রশ্ন ফাঁস হইছে এমন কোনো প্রমাণ হয়, আমরা সেই পরীক্ষা বাতিল করে দিব, কোনো দ্বিরুক্তি হবে না। কিন্তু আপনারা বুঝেন, ফেইসবুকে এমন ভুয়া ঘোষণাও আসে, আউট হয়ে গেছে। সাড়ে ২০ লাখ ছেলেমেয়ের পরীক্ষা আবার নেওয়া, তাদের দুঃশ্চিন্তার বিষয় চিন্তা করেন।

এ কারণে যদি প্রমাণ হয়, ফাঁস হয়েছে, তাহলে আমরা পরীক্ষা বাতিল করে দেব, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে কোনো পরীক্ষা হবে না। সকালে পরীক্ষা শুরুর আগেই কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে নিয়ে রাজনীর আশকোনা একটি এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে যান ডা. দীপু মনি। তিনি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র খুলে পরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের দিক থেকে আমরা এই প্রস্তুতি সারাদেশে নিয়েছি, সব দিক থেকে তৎপর ছিলাম। কতো কী করা যায়…।

এর আগে বৃহষ্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বলেছেন, ‘এবারের পরীক্ষায় মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন।’

২০১৮ সালের তুলনায় এবছর এক লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী বেশি পরীক্ষা দেবেন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ হাজার ২০৫ জন।

এবার আটটি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষাথীর সংখ্যা ১৭ লাখ ১০২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৩ লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরি ভোকেশনাল ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন রয়েছে। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৭ এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮২ টি। এছাড়াও বিদেশি আটটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪৩৪ জন্য পরীক্ষাথী রয়েছে।

অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্যরা ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়সহ শিক্ষক/ অভিভাবক/ সাহায্যকারী বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হবে বলে সন্মেলনে জানানো হয়। এছাড়াও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে নজরদারি থাকবে মনিটরিং কমিটির। অন্যান্য বছরের মতো এবারও সকালের পরীক্ষা ১০ থেকে ১টা এবং বিকেলের পরীক্ষা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সকল পরীক্ষার্থীকে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়াও পরীক্ষার ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রশ্নে পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতিত (ছবি তোলা যায় না এমন ফোন) অন্য কেউ মোবাইলফোন/ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।


টিআর/