ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নলিনীকান্ত ভট্টশালীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২২ এএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০১:২০ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

ঢাকা জাদুঘরের (বর্তমানে জাতীয় জাদুঘর) প্রতিষ্ঠাতা কিউরেটর নলিনীকান্ত ভট্টশালীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। জাদুঘরের এ প্রতিষ্ঠাতা ১৯৪৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জাদুঘরের বাণী কুটিরে মারা যান।

ড. নলিনীকান্ত জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করে গড়ে তোলেন ঢাকা জাদুঘর। ঢাকা জাদুঘরই আজ বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর।

তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার নয়ানন্ধ গ্রামের নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। তার বাবার নাম রোহিনীকান্ত ভট্টশালী আর মা শরৎকামিনী। তার বাবা পেশায় ছিলেন পোস্টমাস্টার। যদিও তিনি কাকা অক্ষয় চন্দ্রের যত্নে লালিত-পালিত হন।

তার প্রাথমিক শিক্ষা পাইকপাড়া পাঠশালায়। এনট্রান্স পাস করেন ১৯০৫ সালে সোনারগাঁও হাই স্কুল থেকে। পাঁচ টাকা বৃত্তিসহ রৌপ্যপদকও পেয়েছিলেন নলিনীকান্ত ভালো ফলাফলের জন্য। ঢাকা কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ করেন। তিনি ১৯১২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএ পাস করেন।

বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য জাদুঘর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তারই উদ্যোগে ১৯১২ সালে ঢাকা জাদুঘর প্রতিষ্ঠার প্রথম সম্মেলন হয়। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৯১৩ সালে ঢাকা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা হয়। জুলাই মাসের ৭ তারিখ ঢাকা জাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ঢাকা জাদুঘরের অবৈতনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছিলেন এইচ ই স্টেপলটন। তিনি এ দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করলে তৎকালীন বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল ১৯১৪ সালের জুলাই মাসে মাসিক ১০০/- টাকা বেতনে ঢাকা জাদুঘরের দায়িত্ব গ্রহণ করতে আহ্বান জানান ড. নলিনীকান্তকে। তিনি এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা জাদুঘরকে নিজের মতো করে সাজাতে থাকেন। তার উদ্যোগে ১৯২০ সালে ঢাকা জাদুঘর স্থানান্তরিত হয় ঢাকার নিমতলীর বারোদুয়ারিতে।

নলিনীকান্ত ভট্টশালী সমগ্র পূর্ববঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ ঘুরে প্রচুর প্রত্ন-নিদর্শন সংগ্রহ করেন। ১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ভারতের ইতিহাস, বিশেষত বাংলার ইতিহাস ও প্রত্ন বিষয়ে তিনি অনেক বই লিখেছেন। ১৯২২ সালে ক্রনোলজি অব আর্লি ইনডিপেনডেন্ট সুলতানস অব বেঙ্গল বইটির জন্য গ্রিফিথ পুরস্কার পান তিনি।

ঢাকা জাদুঘর বৌদ্ধ ও হিন্দুমূর্তি, পূর্ববাংলার স্বাধীন সুলতানী শাসক ও তাদের মুদ্রা- এগুলো নলিনীকান্তের লিখিত বই। এগুলো সবই তিনি ইংরেজিতে লিখেছিলেন।

একে//