ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘সন্দ্বীপে হবে পর্যটন শিল্প ও ইকনোমিক জোন’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৫ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার

সন্দ্বীপে পর্যটন শিল্প ও ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে সাগরের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধার ফলে সন্দ্বীপে শিল্পায়নের বিকাশ ঘটবে। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পের উন্মেষ ঘটবে। আমরা সেখানে বহুমুখী কাজ করতে পারবো। যেহেতু এই দ্বীপটি অত্যন্ত চমৎকার তাই এখানে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, সন্দ্বীপ একটি চমৎকার দ্বীপ। নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আমি বহুবার সন্দ্বীপ গিয়েছি। আবারো সেখানে যাবো। যদিও সেখানকার মানুষ খুব দুঃসহভাবে কাটে। এছাড়া আমাদের ব্লু ইকোনোমির ক্ষেত্রে সন্দ্বীপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা।  

সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে   বলেন, সন্দ্বীপে এক সময় হ্যারিকেনের যুগ ছিল, আপনি সেখানে সোলার প্যানেল দিয়েছেন, সেই সোলার থেকে এখন জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন সন্দ্বীপবাসীকে। এ জন্য আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ ।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংসদ মিতা বলেন, সন্দ্বীপের চারদিকে প্রায় ১৫ হাজার একর খাস জমি রয়েছে। যেখানে একটি ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলা সম্ভব।

এই দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী হাসিমুখে তা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্দ্বীপে আমি অনেকবার গিয়েছি। ১৯৮৫ সালে গেলাম, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে গেলাম। তখন জলোচ্ছ্বাসে খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো সন্দ্বীপ। খাবার ছিলো না। লবণাক্ত হয়ে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এমন সময় নারকেল কোড়া, পান্তা ভাতের সঙ্গে শুকনো পোড়া মরিচ খেয়ে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।

হাসিমুখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবারও যাওয়া হবে সন্দ্বীপ। ওই নারকেল, পান্তা ভাত আর শুকনো পোড়া মরিচ রাখবেন।  

কেআই/