ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

‘নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩৭ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:১৬ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গ্রামের মানুষও যাতে নাগরিক সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের ২০১৮-২০১৯ গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীও। আমরা আমাদের উন্নয়নের কার্যক্রমের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে ডিফেন্স কলেজেরও আধুনিকায়ন করা হবে।’ 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এক সময় দুর্নীতি ও দুর্যোগের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১ হাজার ৭৭১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। জিডিপি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হযেছি। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। দেশের ৯৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়।’
তিনি বলেন, ‘রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।’

এ বছর ডিএসসিএসসি ২০১৮-২০১৯ কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১৮ জন অফিসার, নৌবাহিনীর ২৯ জন এবং বিমানবাহিনীর ২৩ জন অফিসার গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। এছাড়া চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, সৌদি আরব, লেবানন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৯ দেশের ৪৫ জন অফিসার এ বছর কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী কোর্স সম্পন্নকারী অফিসারদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যাপীঠ থেকে ‘পিএসসি’ ডিগ্রী অর্জন, যে কোনো সামরিক অফিসারের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।’
স্টাফ কলেজে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ৪৩টি, নৌবাহিনীর ৩৭টি এবং বিমানবাহিনীর ৩৯টি স্টাফ কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে সশস্ত্রবাহিনীর ৩৯০২ জন, পুলিশের ৫ জন এবং ৪২টি বন্ধুপ্রতীম দেশের ১ হাজার ১১১ জন অফিসার এ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন অর্জন করেছেন।
কলেজের সাবেক ও বর্তমান কমান্ড্যান্ট, অনুষদ সদস্যবৃন্দ ও সকল অফিসারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী গ্র্যাজুয়েট অফিসারদের বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তোমরা সমর বিজ্ঞানের ওপর উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেছ। এ প্রশিক্ষণ অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালনে এবং যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তোমাদের আরও আত্মপ্রত্যয়ী হতে শেখাবে।’
এ বছর ১১ জন নারী অফিসারের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা অফিসারের কোর্সে অংশগ্রহণ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আশা করি, মহিলা অফিসারদের অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।’
বন্ধুপ্রতিম দেশের গ্র্যাজুয়েট অফিসারদের উদ্দেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। বৈশ্বিক শান্তির প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের পররাষ্ট্র নীতিতেও প্রতিধ্বনিত হয়। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হল ‘সমমর্যাদার ভিত্তিতে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ এরই ধারাবাহিকতায় আপনাদের দেশের সঙ্গে আমরা বজায় রেখেছি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।’
এসএ/