ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

বয়স্ক ও অক্ষম বন্দীদের কারাভোগ

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুক্তির বিবেচনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন কারাভোগ না করে, তারজন্য কারাগারগুলোতে একটি সংস্থা কাজ করছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম বন্দীদের কারাভোগ থেকে বাদ দেওয়া যায় কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) ৫০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দিবসটি উপলক্ষে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব দায়িত্ব পালন করবে। স্ট্যান্ডবাই থাকবে বিজিবি ও আনসার। প্রয়োজনে তাদেরকেও মুভ করানো হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দিবসটি উপলক্ষে শহীদ মিনার এলাকায় ভাসমান দোকান ও হকারমুক্ত থাকবে। এদিন ঢাকা শহরে চলাচলের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে সরকার। সেটি মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ এছাড়া, পুরো এলাকাটি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বলেও জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরই বিদেশি কূটনীতিক ও অতিথিরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। বরাবরের মতো এবারও তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়েছে।’
এছাড়া, শহীদ মিনার এলাকায় পর্যাপ্ত খাবার পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা-শহরই নয়, পুরো দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ যেন শান্তিতে দিবসটি পালন করতে পারে, সেজন্য সব জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি কারাভোগ না করে, তারজন্য কারাগারগুলোতে একটি সংস্থা কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম বন্দীদের কারাভোগ থেকে বাদ দেওয়া যায় কি-না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের কথা ছিলো- সীমান্তে হত্যা ‘জিরো’তে নামিয়ে আনা হবে। দুই বছর তা বন্ধও ছিলো। হঠাৎ করে কেনো এটা বেড়ে গেলো তা বিজিবি খতিয়ে দেখছে। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করে এটা পর্যালোচনা করা হবে। প্রয়োজনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালকদ্বয়ের মধ্যে বৈঠক হবে। তবে এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এখন যারা সীমান্তে আছেন, তারা নিয়মিত বৈঠক করছেন।’
মিয়ানমার সীমান্তে নতুন করে অস্থিরতা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজিবি সতর্ক আছে। প্রয়োজনে আরও সীমান্তরক্ষী নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এ সীমান্ত অনেক দুর্গম।’
এসএ/