ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

অনলাইনের ৫ বিপদ, যা আপনি ভাবতেও পারবেন না

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৩ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে প্রতিনিয়ত৷ ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তিও বাড়ছে অধিক হারে। সঙ্গে বাড়ছে বোকামিগুলো৷ অনলাইনে আমাদের একটু বিচক্ষণ হতে হবে বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে৷

ফোনে লক নেই?

ধরুন ফোনে লক দিতে ভুলে গেছেন, বা নিজেই পছন্দ করেন না লক সিস্টেম৷ তাই যেখানে সেখানে ফোন ফেলে আসাটা আপনার জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনবে৷ কারণ যেহেতু স্মার্ট ফোনে আপনার ফেসবুক, জিমেইল, কোথাও কোথাও ব্যাংক ডিটেইলও সেভ করা থাকে সেখানে আরেকজনের পক্ষে কপি করা বিষয়ই নয়৷ নিজের ব্যক্তিগত ছবিগুলোর নিরাপত্তা স্বার্থে হলেও ফোন লক করুন৷

ফ্রি ওয়াফাইয়ে বিপদ

ফ্রি ওয়াইফাই দেখে ঝাঁপিয়ে পড়লেই বিপদ৷ যদিও ফ্রি ওয়াইফাইয়ের প্রলোভন উপেক্ষা করা কঠিন, তবু বিপদ বুঝে ব্যবহার করতে হবে৷ যেহেতু আপনার মোবাইলের ডাটা অ্যাকসেস পাবে ওয়াফাই সংযোগটি সেহেতু সাবধান৷

এক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার করে ওয়াই ফাই সংযোগ গ্রহণ করা উচিত৷ ভিপিএন অর্থ ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটোয়ার্ক৷ এটি একটি টানেল তৈরি করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখবে ফ্রি ওয়াফাইয়ে ওঁৎ পেতে থাকা চোরদের থেকে৷ 

চ্যাটরুমে ভরসা নেই

চ্যাটরুম সময় কাটানোর জন্য খুব ভালো মাধ্যম হলেও বিশ্বাস করা যাবে না এখানকার মানুষদের৷ কারণ চ্যাটরুমের পরিচয় থেকে আবেগী হয়ে ভিডিওচ্যাট করে ভীষণ বিপদে পড়েছেন অনেকে৷ বিশেষ করে মেয়েদের হয়রানি করার ঘটনাগুলোর সূত্রপাত চ্যাটরুম থেকে৷ এখানেই ছড়ায় ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিওসহ নিজস্ব অনেক তথ্য৷ সুতরাং চ্যাট করতে পারেন কিন্তু তথ্য শেয়ার নয়৷

কঠিন পাসওয়ার্ড

মনে থাকবে না এই অজুহাতে পাসওয়ার্ডটাকে একেবারে সহজ কিছু বা ধারণা করা যায় এমন করবেন না৷ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, মেইল অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ প্রতিটা বস্তুর জন্য আলাদা আলাদা ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড রাখুন৷ আর মনে রাখার সুবিধায় পাসওয়ার্ড কোনো ইনবক্সে সেভ করবেন না, কিংবা পাসওয়ার্ড লেখা খাতাটা যেখানে সেখানে ফেলে আসবেন না৷

ক্রেডিট কার্ডের সেলফি?

নতুন ক্রেডিটকার্ড পেয়ে খুশিতে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ফেলবেন না৷ প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ডের ছবি তুলে রাখতে পারেন৷ তবে সেটি একেবারেই গোপন স্থানে রাখবেন৷ ইদানিং ইন্টারনেটে এ ধরনের বোকামি বেশ চোখে পড়ছে৷ আইটি বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের ঘটনাকে মানবজাতির বুদ্ধিমত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ বলেই মনে করছেন৷

তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে

এমএইচ/