ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

বিডিইউ’র ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ফল প্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:১৭ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’ (বিডিইউ) প্রথমবারের মতো স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির ফল প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (http://bdu.ac.bd) এবং ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট http://admission.bdu.ac.bd - তে এক যোগে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ফল প্রকাশ করা হয়।

ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন। এছাড়া আবেদনকারীদের ভর্তি আবেদন ফরমে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে এসএমএসের মাধ্যমে তাদের ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বছর (২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে) প্রথম বারের মত একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ায় ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ’র ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রথম বারের ভর্তিতে সর্বোচ্চ জিপিএ’র ভিত্তিতে দুটি বিভাগে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন আবেদনকারীকে ভর্তির জন্য মনোনীত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মনোনীত আবেদনকারীরা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট আবেদন ফরম পুরণ ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের রকেটের মাধ্যমে ভর্তি ফি জমা দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।

এ বছর প্রথম বারের মত দুটি অনুষদের অধীনে দুটি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

প্রথম বার চালু হওয়া দুটি অনুষদ হলো ক.) প্রকৌশল অনুষদ খ.) শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদ। এর মধ্যে প্রকৌশল অনুষদের অধীনে রয়েছে একটি বিভাগ ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের অধীনে রয়েছে অন্য একটি বিভাগ আইসিটি ইন এডুকেশন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর জানান, প্রথম বারের ভর্তিতে ৮ হাজার ৫০৫ জন ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২১১ জনের এসএসসি এবং এইচএসসি দুটিতেই জিপিএ ৫ রয়েছে। সেখান থেকে সর্বোচ্চ মেধার ভিত্তিতে ১০০ জন আবেদনকারীকে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।

উপাচার্য বলেন, প্রথম বারের ভর্তির আবেদনে ছাত্র এবং ছাত্রীদের অনুপাত ৬৫: ৩৫ এর মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে মেধা তালিকায় ছাত্র এবং ছাত্রীর অনুপাত ৭০: ৩০। এখানে উল্লেখ্য যে দুটি বিভাগের মধ্যে আইসিটি ইন এডুকেশনে মেধা তালিকায় মেয়ে শিক্ষার্থী প্রথম হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। তাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে টেকসই ও পরিকল্পিত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা।

অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর জানান, আমরা ১০০ জন তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই শিক্ষাবর্ষে কাজ করবো। অমাদের লক্ষ্য এই তরুনদের বিশ্বমানের প্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে তোল। এবং তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দানের উপযোগী করে গড়ে তোল।

একে//