ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

অল্প খরচে কিডনিতে পাথর দূর করার উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩২ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০২:৩৪ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

শরীরে পানির ঘাটতি যেন না হয় তা দেখা, মল-মূত্রজনিত কোনও সমস্যার প্রতি নজর রাখা, বা তলপেটে-কোমরে একটানা ব্যথা থাকলে তা  নিয়ে সতর্ক থাকা— রোজকার জীবনে কিডনির খেয়াল রাখা বলতে এইটুকুই।

তবে বাস্তব বলছে, এটুকু খেয়ালও ঠিকঠাক রাখতে পারি না আমরা। তাই কিডনির নানা সমস্যা থেকে ক্রনিক অসুখ প্রায়ই হানা দেয় শরীরে।

বিশেষ করে রেনাল স্টোনে ভুগছেন এমন মানুষ কম নেই। জীবনযাপনের ভুলত্রুটি, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, পানি খাওয়ার অনভ্যাস ইত্যাদি রেনাল স্টোনের অন্যতম কারণ।

নেফ্রোলজিস্ট অভিজিৎ তরফদারের মতে, কিডনিতে পাথর ক’টি আছে এবং কোথায়, কেমন অবস্থায় রয়েছে এগুলির উপরই এই অসুখের উপসর্গ নির্ভর করে। পাথর নানা আকারের হয়।

সাধারণত, পাথরের সংখ্যা কম ও আকার খুব ছোট হলে তা কোনও রকম উপসর্গ ছাড়াই শরীরে থেকে যেতে পারে। ওষুধের মাধ্যমে তা গলিয়ে দেওয়া বা শরীরের বাইরে বার করে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু সংখ্যায় বেশি বা আকারে বড় হলে তা কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে বইকি। তখন অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও পড়ে। তেব ঘরোয়া কিছু নিয়ম মানলে এই অসুখ ঠেকিয়ে রাখা সহজ হয়।

কিন্তু জানেন কি, খুব নিয়ম মেনে বা তটস্থ থেকে কিডনির যত্ন না নিয়ে সারা জীবন কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেও কিডনি ভাল থাকে। আসুন, উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

রেনাল স্টোন মূলত অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম থেকে হয়। তাই ডায়েটে নজর রাখুন। প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাবেন না। ডায়েটে এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।  সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় জলটুকু রোজ জোগান দিন। এতে কিডনি সব সময় ভাল থাকবে।

এ ছাড়াও কিডনিতে স্টোন রুখতে প্রতি দিন খালি পেটে উষ্ণ পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তা নিয়মিত খান। গরম জলে মিশিয়ে খাওয়ার কারণে লেবু থেকে অম্লজাতীয় সমস্যাও তৈরি হয় না। তাই এই মিশ্রণ জিনে যত বার খুশি খাওয়া যেতে পারে।

লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনির ভিতরে কোনও পাথর তৈরি হলে, তাকে ছোট ছোট টুকরোয় ভেঙে দেয়। তাই তা সহজেই মূত্রনালি দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। তবে কিডনিতে ইতিমধ্যেই পাথর জমে গেলে তা ঘরোয়া উপায়ে কমানোর চেষ্টা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/