ঢাকা, রবিবার   ২০ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৪ ১৪৩২

বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় নৌ বাণিজ্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের

প্রকাশিত : ১০:৫৪ এএম, ৫ অক্টোবর ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১০:৫৭ এএম, ৫ অক্টোবর ২০১৬ বুধবার

পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। নেয়া হয়েছে ৩০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এরফলে বন্দরের বহুমাত্রিক উপযোগীতা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের অন্যতম আধুনিক বন্দরে পরিনত হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় নৌ বাণিজ্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে যেখানে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে ১৫ লাখ, সেখানে মাত্র দু’ বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখে। এ ধারা অব্যহত থাকলে ২০২০ সালে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং ছাড়িয়ে যাবে ৩০লাখ। এ অবস্থায় দেশের আমদানী রফতানী বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বন্দর উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন চট্টগ্রামের শিল্পপতি-ব্যবসায়ীরা। এদিকে ভবিষ্যত চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে বন্দর উন্নয়নে ৩০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা নেয়ার কথা জানান বন্দর কর্মকর্তারা। এ জন্যে ব্যায় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। ২০৪৩ সালের মধ্যে এই মহাপরিকল্পনা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২১ সালে শেষ হবে  পরিকল্পনার প্রথম ধাপ। মাত্র ৬কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে শুরু হয়েছিল কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কার্যক্রম। ৪০ বছরের ব্যবধানে এ বছর হ্যান্ডেলিং করা হয় হয়েছে ২০ লাখ কন্টেইনার। বন্দর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দর পরিনত হবে বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দর হিসাবে।