‘নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের অংশ না নেওয়ার দায় ইসির নয়’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০২:২১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আসন্ন সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল অংশ না নিলে সে দায় নির্বাচন কমিশনার নয়।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে শেষ সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোট একটি উৎসব। ভোটের দিন ভোটাররা আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেমন হয়েছে উত্তর সিটি ও উপজেলা নির্বাচন করতে হবে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আপনাদের কারণে নির্বাচন কমিশনের যাতে বদনাম না হয়। ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন।
উল্লেখ্য আট বিভাগের উপজেলাগুলোকে চার দিনে চার ধাপে ভোট গ্রহণ করা হবে। বাকিগুলোর মেয়াদউত্তীর্ণ কবে হচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়ে আরেকটি ধাপে ভোট শেষ করা হবে। সেক্ষেত্রে ৫ ধাপে ভোট করা হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চ-মে মাসে ছয় ধাপে এর অধিকাংশগুলোতে ভোট হয়েছিল। আইনে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এই নির্বাচন করতে হচ্ছে।
১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন ইসি। সেই ধারা বজায় রেখে এবার বিভাগওয়ারি ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। সেক্ষেত্রে আট বিভাগের ভোট হবে চার দিনে; অর্থাৎ এক দিনে দুটি বিভাগে ভোট হবে। বাকি যেগুলো থাকবে, সেগুলোতে ভোট হবে পঞ্চম ধাপে।
টিআর/