ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

সমবায় সমিতির নামের শেষে ব্যাংক শব্দটি যুক্ত করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা

প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ১২:৩১ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার

ব্যাংকিং লাইসেন্স নেই, তারপরও নিজেদের নামের শেষে ব্যাংক শব্দটি যুক্ত করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে কয়েকটি সমবায় সমিতি। সমবায় আইনে ব্যাংক শব্দটি ব্যবহারের কোনো বিধানই নেই। শুধুমাত্র সদস্যদের চাঁদা গ্রহন ও তাদের মাঝে বিতরণের কথা থাকলেও নিয়ম ভেঙে ব্যাংকের মতোই সঞ্চয় গ্রহন ও ঋন বিতরণ করছে সংগঠনগুলো। নিয়ন্ত্রক সংস্থা না থাকায় এসব সমিতির অর্থ, পাচার কিংবা জঙ্গী অর্থায়নেও ব্যবহৃত হওয়ার আশংকা বিষেজ্ঞদের। আইন অনুযায়ী সমবায় সমিতির নামের সঙ্গে ব্যাংক শব্দটি ব্যবহার করার সুযোগ নেই। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করেই ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কয়েকটি সমবায় সমিতি। তাদের আয়-ব্যায়ের সঠিক হিসেবও নেই। সমবায় হয়েও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে আছে দ্যা ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস এ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট লিমিটেড, আদর্শ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড। দি ঢাকা আরবার কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডসহ কয়েকটির বিরুদ্ধে আবার গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হওয়ার অভিযোগও আছে। সমবায় আইনে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত বা নিবন্ধনের জন্য প্রস্তাবিত কোন সমবায় সমিতির নামের সাথে কর্মাস, ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট, কর্মাশিয়াল ব্যাংক, লিজিং ফাইনান্সিং বা সমার্থক কোনো শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। অবৈধভাবে চালানো ব্যাংকিং কার্যক্রম সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ন বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, এসব অর্থ কোথায় খরচ করা হয় তার কোন সঠিক হিসেব নাই। কিন্তুু এসব সংগঠন নামের পরিবর্তন তো করেইনি বরং সমবায় অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে নির্বিঘেœ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মূখপাত্র ব্যাংকিং লাইসেন্স বিহীন এসব কো-অপারেটিভে লেনদেন না করার আহ্বান জানান।