‘১০ ব্র্যান্ডের বোতল ও জারের পানি নিম্নমানের’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:২৩ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

বাজারে থাকা অনুমোদিত ১০টি ব্র্যান্ডের বোতল ও জারের পানি নিম্ন মানের বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন-বিএসটিআই। মঙ্গলবার হাইকোর্টে জমা দেওয়া ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টির লাইসেন্স স্থগিত ও ৩টির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিএসটিআইয়ের এক জরিপের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্য ৬৯টি সার্ভিলেন্স টিম পরিচালনা করে ৩৩ হাজার ৫৭৫টি অবৈধ পানির জার/জব্দ, ৬৫ টি নিয়মিত মামলা করা হয়।
লাইসেন্স স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- সেফ ইন্টারন্যাশনালের ‘ক্যানি’ ব্র্যান্ড(জার), সিনহা বাংলাদেশ ট্রেড লিমিটেডের ‘এ্যাকুয়া মিনারেল’ ব্র্যান্ড(ছোট বোতল), এএসটি বেভারেজ লি. এর‘আলমা’ ব্র্যান্ডের (ছোট বোতল), মেসার্স ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এর ‘সিএফবি’ ব্র্যান্ড (জার), মেসার্স ইউরোটেক ট্রেড এন্ড টেকনোলজির ‘ওসমা’ ব্র্যান্ড (জার), ইউনিটি এগ্রো বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ এর ‘এপিক’ ব্র্যান্ড (জার), ফ্রুটস এন্ড ফ্লেভার্স এর ‘ইয়াম্মী ইয়াম্মী’ ব্র্যান্ড (পেট বোতল)।
লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- আনন্দ ফুড এন্ড বেভারেজ এর ‘আনন্দ প্লাস’ ব্র্যান্ড (জার), রিয়েল ফুড এন্ড বেভারেজ এর ‘রিয়েল ফার্স্ট’ ব্র্যান্ড (জার), বেস্টওয়ান ড্রিংকিং এর বেস্ট ওয়ান।
গত বছরের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামের প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৭ মে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার।
পরে এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বাজারে থাকা অবৈধ-অনিরাপদ জার ও বোতলের পানির সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেন।
এসএইচ/