ঢাকা, বুধবার   ২৩ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৭ ১৪৩২

ভারতের হামলায় ৪ সাধারণ নাগরিক নিহত: পাকিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১১:০১ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার

ভারতীয় বিমান বাহিনীর কথিত জইশ-ই-মোহাম্মদের একাধিক ঘাঁটিতে হামলায় দুই শিশুসহ চার সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা শরিক তারিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার নাইখল সেক্টরের একটি বাড়িতে এই হামলা চালায় ভারতীয় সেনারা। এতে ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী, তার দুই শিশুসন্তানসহ চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো তিনজন।

গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে  ৩টার দিকে ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বালাকোটে কথিত ‘জঙ্গি আস্তানা’য় ওই হামলা চালায়। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এতে তিনশ ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে।

কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্যদের ওপর আরো জঙ্গি হামলা চালানো হতে পারে - এই সন্দেহেই তারা জঙ্গি গ্রুপটির ওপর হামলা চালিয়েছে।

অন্যদিকে পাকিস্তান বলছে, খোলা মাঠে চালানো এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। পাকিস্তানের ভেতরে ভারত-বিরোধী জঙ্গিরা তৎপর - দিল্লির এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তান বলছে, তারাও সময় মতো এই হামলার জবাব দেবে। দুটি দেশের প্রতি সংযম প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং চীন।

হামলার পর দিল্লির দাবী তাদের আক্রমণের নিশানা ছিল খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটের কাছে জইশ-ই-মোহাম্মদের একটি প্রশিক্ষণ শিবির। পাহাড়ি এলাকায় এই শিবিরটি নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে।

মোটামুটি একুশ মিনিটের মতো ভারতীয় বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশ-সীমার ভেতরে ছিল বলে ভারতের দাবি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর কয়েকটি বিমান ভারতীয় বিমানগুলোকে পাল্টা ধাওয়া করে। তবে ভারতীয় বিমানগুলোর সবই অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরেছে।

দেশে ফেরার আগে ভারতীয় জেটগুলো তাদের বয়ে নিয়ে যাওয়া বোমা পাকিস্তানের মাটিতেই ফেলে এসেছে। তবে পাকিস্তান বলছে, তাদের তাড়া খেয়ে ভারতীয়রা খোলা জায়গাতেই ওসব ফেলে পালিয়েছে - আর ভারতের বক্তব্য, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতেই সফলভাবে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও এএফপি

এমএইচ/