এখন থেকে অনলাইনে মিলবে ভূমির আরএস খতিয়ান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৬ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:৩৮ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার

এখন থেকে ভূমির আরএস খতিয়ান পাওয়া যাবে অনলাইনে। ঘরে বসেই মাত্র ২ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যেই আরএস খতিয়ান পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।।
‘হাতের মুঠোয় খতিয়ান’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ভূমির আরএস খতিয়ান অনলাইনে অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ অবমুক্তকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
আরএস খতিয়ান প্রাপ্তির ফলে জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পাবে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, এতে সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মামলার ভোগান্তি এবং মধ্য-স্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও হ্রাস পাবে। এছাড়া নাগরিকের সময়, খরচ এবং যাতায়াত কমে যাবে। সেবাগ্রহীতারা খুব সহজেই এখন নির্দিষ্ট ফি দেওয়ার মাধ্যমে আরএস খতিয়ান পেতে পারেন।
‘আরএস খতিয়ান’ অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ‘জমি’ নামক জাতীয় ভূমি-তথ্য ও সেবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (www.land.gov.bd) একটি অংশ।
এছাড়া মোবাইল অ্যাপ, ‘rsk.land.gov.bd’ এবং ‘drroffice.land.gov.bd’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক ঘরে বসে অথবা নিকটস্থ যেকোনো ডিজিটাল সেন্টারে অথবা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজের জমি সংক্রান্ত তথ্য দেখার সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে প্রায় ৩২ হাজার জরিপকৃত মৌজার ১ কোটি ৪৬ লাখ আরএস খতিয়ান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিশেষ উদ্যোগের অধীন বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি মন্ত্রণালয়ের ৯০ দিনের কর্মসূচিরও একটি অংশ।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সু-শাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো। ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন যেন টেকসই হয় সেজন্যে আমরা বদ্ধপরিকর।
এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরগুলোতে কর্মরত গণকর্মচারীরা সম্পত্তির হিসেব জমা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনে কর্মরতারাও নিজ নিজ কালেক্টরেট অফিসে সম্পদের হিসেব দিয়েছেন। খুব শিগগিরই তা আপনারা তা জানতে পারবেন।
ভূমিসচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের অফিসের রেকর্ড রুম থেকে খতিয়ান বা পর্চা দেয়া হয়। খতিয়ানের কপি প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার, মধ্য-স্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস এবং ভূমি সংক্রান্ত সেবা আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করার জন্য অনলাইন সেবা চালু করা হয়েছে।
আরকে//