ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি নয়: বিজিএমইএ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪৮ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৯ রবিবার

পোশাক শিল্পে মজুরি নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে চার হাজারের বেশি শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রটার্ব মিলারের সঙ্গে পোশাক শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা বলা হলেও আমরা আমাদের সেল ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সব খবর নিয়েছি। এ ধরনের কোনো তথ্য কারো কাছে নেই। তবে ছাঁটাই হওয়া এসব কর্মীদের কাউকে আর কাজে পুনর্বহাল করা হয়নি।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে কোনো নিরীহ শ্রমিক যেনো হয়রানি বা ছাঁটায়ের শিকার না হন। আবার যেনো-তেনোভাবে কারখানা খোলার পর শ্রমিকের ছবি টানিয়ে বলবেন তাদের চাকরি নাই এটা হতে পারে না। রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এ বিষয় নিয়ে কথা বললে আমি তাকে এটাই বলেছি। তাছাড়া আমদানি-রফতানি নিয়েও কথা হয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আর্ল রবার্ট মিলারকে আমি বলেছি আমাদের দেশে লেবাররা আছে সেভাবে আমরা চলি। কোনো নিরীহ শ্রমিক হয়রানি বা ছাঁটায়ের শিকার হয় না। তবে ১১ হাজার শ্রমিক ছাঁটায়ের কথা যেটা আলোচনায় এসেছে সেটা সঠিক না। কিন্তু মজুরি নিয়ে যারা খুব উচ্ছশৃংখল হয়েছিলো তাদের কিছু সংখ্যক শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছিলো। আবার কিছু কারখানা বন্ধ হওয়ায় কিছু শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা ১১ হাজার বলা হলেও সংখ্যাটি কোনোভাবেই চার হাজারের বেশি না।

জিএসপি নিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে আমরা বলেছি জিএসপি (ডিউটি ফ্রি) নিয়ে আবারও আলোচনা হতে পারে। তাদের দেওয়া ১৬টি শর্তের মধ্যে আমরা ১৫টি পূরণ করলেও এখনও জিএসপি সুবিধা পায়নি। তবে এটা নিয়ে খুব দ্রুত তারা আমাদের মেইল এ জানাবে। এরপরই এটা নিয়ে আলোচনা হবে, আমরা উভয় বসবো।

সিদ্দিকুর রহমান আরো জানান, এছাড়া কটন নিয়ে মিলারকে বলেছি, বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ কটন আমদানিকারক। আমেরিকা থেকে কটন আমদানি করলে কি কি সুবিধা পাবো? সে বিষয়ে জানতে চেয়েছি।
আমাদের দেশের কয়েকজন ব্যবসায়ীও যুক্তরাষ্ট্রে স্পিনিং মিল স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেখানকার সুতা নিয়ে আমাদের দেশে পোশাক তৈরি করবে। এবং সে পোশাক ক্রয়ে তাদের কি ধরণের সুবিধা দিবে সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আরকে//