ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

চট্টগ্রামে সফটওয়্যার পার্কে ২৫০০ জনের কর্মসংস্থান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৫:০৪ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৯ বুধবার

বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের ৬-১১ তলায় গড়ে তোলা হচ্ছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন ‘কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের’ উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মাণাধীন এ পার্কে ২ হাজার ৫০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

সোমবার বিকেলে পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, পার্কের উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক এএসএম সফিকুল ইসলাম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা প্রমুখ।

নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ই-লার্নিং মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত দুই সপ্তাহে অন্তত ২০ হাজার পর্নো সাইট বন্ধ করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এমন ব্যবস্থা করা হবে যাতে কেউ আর এসব সাইটে না ঢুকতে পারে।

তিনি বলেন, আপনারা সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিন। কারণ ইন্টারনেট জ্ঞানের ভাণ্ডার। সেটাকে রুখে দেওয়া যাবে না। আমরা ইন্টারনেটকে সবার ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে কাজ করছি। তখন সব বয়েসীদের জন্য এটি নিরাপদ হবে।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চট্টগ্রামকে আগামী কযেক বছরের মধ্যে প্রযুক্তির নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ১০ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। ১০ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৫৬ লাখ, এখন ১০ কোটি লোক এই সেবার আওতায় এসেছে। সারাদেশে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হয়েছে ৯ হাজার। আরও হবে ২৫ হাজার ৫০০টি। গত বছরের ১৮ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্মাণ সংক্রান্ত ওই চুক্তি হয়।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ২৪ কোটি ৩৮ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে এ পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। পার্ক স্থাপনের বিষয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই চসিক-হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাদে বাকি ভাড়ার টাকা ২৫ বছর পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে ৫০:৫০ হারে ভাগাভাগি হবে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি পার্কের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

কেআই/