ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

পাড়া-মহল্লার সুখ-দুঃখের গল্প ‘শঙ্কর মুদি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২২ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

কাঁচাপাকা দাড়ি। মোটা গোঁফ। কাঁধে লাল গামছা। গেঞ্জি পরা মোটাসোটা একটি মানুষ বসে আছেন দোকানে। দাগটানা খাতার পাতায় হিসেব কষছেন মাঝে মাঝে। কখনও আবার পেছনে রাখা সেলফ থেকে জিনিস নিয়ে দিচ্ছেন ক্রেতাদের। তিনিই শঙ্কর অর্থাৎ শঙ্কর মুদি। বড়পর্দায় শঙ্করকে এভাবেই তুলে ধরেছেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। আগামী ১৫ মার্চ টালিউডে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে অনিকেত বলেন, ‘আসলে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বলে একটা ব্যাপার রয়েছে। বিদেশ থেকে বড় বড় পুঁজি আমাদের এখানকার ব্যবসায়ীদের জন্য আসছে। বড় ডিপার্মেন্টাল স্টোর তৈরি হচ্ছে। ব্র্যান্ড আসছে। ফলে দর্জি, নাপিত, মুদি— এদের ওপর সাংঘাতিক আঘাত নামছে। এই দোকানগুলো আর কিছু দিনের মধ্যে শুকিয়ে মরে যাবে। এটা মনে হয়েছিল একটা অর্থনৈতিক ব্যাপার। এরা তো সমাজিক ভূমিকাও পালন করে। পাড়ার কেউ অসুস্থ হলে দরকারে ডাক্তার ডেকে আনে। রক্ত দেয়। আমরা পাড়ায় সিগারেট খেতে পারতাম না। কারণ ওরাই ছিল কাকু, জেঠু। ফলে অর্থনৈতিকের সঙ্গে সামাজিক ব্যাপারও। গল্পটা ১৯৮৯ থেকে শুরু। ২০০৮-’০৯ পর্যন্ত তারিখ দেওয়া আছে।’

‘শঙ্কর মুদি’-র শঙ্কর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।

তিনি জানান, ‘বছর দেড়, দু’য়েক আগে শুটিং হয়ে গিয়েছিল। ফাইনালি রিলিজ হচ্ছে সিনেমাটা, এটাই আনন্দের। আমার চরিত্র শঙ্কর মুদি। পাড়ার মুদির দোকান। অঞ্চলের অভিভাবকের মতো। আসলে বড় শপিং মল হয়ে গিয়ে পার্সোনাল টাচ হারিয়ে যাচ্ছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে বটে রাজনৈতিক সিনেমা, তার বাইরেও এটা আমার কাছে বিরাট একটা সামাজিক সিনেমা।’

অনিকেত মনে করেন, ‘এই সময় টালিউডে দাঁড়িয়ে কৌশিক সবচেয়ে ভালো অভিনেতা। ওর মতো অভিনেতা পাওয়া মুশকিল। কৌশিক সফিস্টিকেটেড আর্বান রোলও করতে পারে, আবার প্রান্তিক চরিত্রেও দারুণ।’

২০১৭-এ কান চলচ্চিত্র উৎসবে মার্কেট প্রিমিয়ার হয়েছিল এই সিনেমার।

কৌশিক ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন- কাঞ্চন মল্লিক, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, শ্রীলা মজুমদার, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, কাঞ্চনা মৈত্র, প্রিয়ঙ্কা সরকারের মতো শিল্পীরা।

এ সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন সদ্য প্রয়াত গায়ক প্রতীক চৌধুরীও। প্রতীকের গানও রয়েছে এতে। আসলে পাড়ার মুদির দোকানে শুধু জিনিস কেনাবেচাই হয় না। সেটা পাড়ার সুখ-দুঃখের গল্প করার একটা আস্তানাও বটে। সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন পরিচালক।

ভিডিও দেখুন :

এসএ/