ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

অলোচনা সভায় বক্তারা

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জাতির জন্য অফুরান সম্পদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৫ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষণ’ অফুরান সম্পদ। এ ভাষণ মানবাধিকারের জন্য ইতিহাসে প্রথম দলিল বলে খ্যাত ম্যাগনা কার্টার সমতুল্য। যা বাঙালি জাতির জন্য নিজেই একটি ম্যাগনা কার্টা দলিল।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা` শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম শ ম রেজাউল করিম বলেন, আরব্য রজনীর গল্পের মতো ইতিহাস রচনা করা যায় না। তেমনি পৃথিবীর অনেক ভাষণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তুলনা করা যায় না। ১৭ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের অল্প সময়ে দেয়া ভাষণে তিনি সব বলে গেছেন; সব নির্দেশনা তিনি সেখানেই রেখেছেন। শুধু মুক্তিযুদ্ধ না বরং বাঙালি জাতির জন্য নির্দেশনা ছিল। বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ম্যাগনা কার্টা।

তিনি বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ গবেষণা করার মতো একটি বিষয়। যার প্রতিটি শব্দের মধ্যে অনেক দূরদর্শী তাৎপর্য আছে। যতকাল বাঙালি জাতি নির্যাতিত হবে ততকাল এই ভাষণের দিকনির্দেশনা সমাধান হিসেবে কাজ করবে। আপনি বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা যে দলের মতাদর্শের লোক হন না কেন, দল-মত নির্বিশেষে এই ভাষণ নিয়ে গবেষণা করতে পারেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সব মানুষকে স্ট্যাডি করেছিলেন। তাদেরকে ধারণ করতে পেরেছিলেন বিধায় বলতে পেরেছিলেন তোমরা আমার ভাই। কাউকে তুমি করে বলার অধিকার তখনই আসে। যখনই তার অভিভাবকের স্থানে দাঁড়িয়ে যান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বাঙ্গালী জাতিকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে।

আলোচনা সভায় একুশে টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) একে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জাতির জন্য অফুরান সম্পদ। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্পর্কে অনেক লেখা হয়েছে। আমার মনে হয় হাজারেরও বেশি লেখা হয়েছে। অনেক বিচার-বিশ্লেষণ হয়েছে। তবুও এখনও সবকিছু বেরিয়ে আসেনি বলে আমি মনে করি। এই ভাষণের প্রতিটি শব্দ ও বাক্য আমাদের রাষ্ট্রের জন্য এখনও প্রাসঙ্গিক।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, পাঠ্যপুস্তকে অনেক অসংলগ্ন বিষয় যাচ্ছে তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ যাচ্ছে না। যে ভাষণ দিয়ে দেশের স্বাধীনতা আসলো তা নতুন প্রজন্মকে জানানোর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সঙ্গে পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষণের তুলনা চলে না।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্প্রতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
এছাড়াও অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বাংলাদেশ পোস্ট-এর সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিন, সাবেক রাষ্ট্রদূত সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া প্রমুখ।

আরকে//