ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘স্বাস্থ্যকর’ বলা হলেও অস্বাস্থ্যকার ৬ খাবার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

অসুখবিসুখের ভয়ে ও স্বাস্থ্যকর জীবনের ঘেরাটোপে বাঁচতে গিয়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার প্রবণতা বিশ্ব জুড়েই শুরু হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রভাবে ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, ক্যানসার ইত্যাদির প্রবণতা দিনের পর দিন বাড়ছে। তাই অসুখ ঠেকাতে খাওয়ায় রাশ টেনেছেন অনেকেই।

কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাবার সরিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত যে সব খাদ্যকে ডায়েটচার্টে প্রবেশ করিয়েছেন, আপনার অজান্তেই তারা আদৌ কোনও ক্ষতি করছে না তো?

‘স্বাস্থ্যকর’ বলে পরিচিত এমন অনেক খাবারের মধ্যে কিন্তু লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। যে সব অসুখ আটকাতে এদের খেয়ে চলেছেন, সে সব অসুখ ডেকে আনার পথে সবচেয়ে বড় ভূমিকা এরাই পালন করছে না তো?

আপনার পাতেও ভুলবশত এই সব খাবারই উঠিয়ে নিচ্ছেন কি? তা হলে সাবধান হোন আজই।

দেখে নিন, কোন কোন খাবার থেকে এ সমস্যা ছড়াতে পারে:

স্মুদি শেক

ফিট থাকতে অনেকেই নানা ফল, দুধ দিয়ে বানানো স্মুদি ও শেক পছন্দ করেন। কেউ বা সাপ্লিমেন্টের কবলে পড়ে নানা হেলথ ড্রিঙ্ক ও প্রোটিন শেকে অভ্যস্ত করেন নিজেকে।

কিন্তু জানেন কি, লো ফ্যাট হলেও বাজারচলতি এই সব শেক ও স্মুদিতে অতিরিক্ত চিনি (অ্যাডেড সুগার) মেশানো থাকে, যা ডায়াবিটিস ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। তাই এ সব না আঁকড়ে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মতো খাবার রাখুন তালিকায়।

ড্রাই ফ্রুটস

প্যাকেটজাত ড্রাইফ্রুটগুলিতে অতিরিক্ত নুন যেমন থাকে, তেমনই উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি সম্পন্ন এ সব ফল ওজন বাড়ায়। ডেকে আনে ডায়াবিটিস। এমনিতেই শুকনো ফলকে কৃত্রিম উপায়ে টাটকা ফলের চেয়ে বেশি মিষ্টি করা হয়, তাই বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতাও তৈরি হয় আমাদের।

ফ্রোজেন খাবার

মাছ-মাংস প্রোটিনের চাহিদা মেটায়, নো কার্বস ডায়েটের অন্যতম সেরা হাতিয়ার এটি। কিন্তু প্যাকেটজাত মাছ-মাংস কিনে সে চাহিদা পূরণ হবে ভাবলে ভুল ভাবছেন। প্রিজারভেটিভস, অতিরিক্ত নুন এ সব এতে মেশানো থাকে, যা শরীরের নানা ক্ষতি করে ও রোগভোগ ডেকে আনে।

ডায়েট নরম পানীয়

ওজন বাড়ার ভয়ে সাধারণ নরম পানীয়র জায়গায় স্মার্টলি বেছে নিচ্ছেন ডায়েট পানীয়! ভাবছেন, এতে হয়ত ওজনকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু জানেন কি, এই ডায়েট পানীয়ে অতিরিক্ত চিনি থাকায় তা রক্তে শর্করা বাড়ায়। ওজন বৃদ্ধিতেও এটি অত্যন্ত পারদর্শী।

কৃত্রিম চিনি

এটি চিনির চেয়েও ক্ষতিকর। এর মূল উপাদান অ্যাসপার্টেম ওজন বাড়ায়। আধুনিক গবেষণা তাই চিনি বিষয়টি থেকে দূরে থেকে রান্নায় মধু, গুড়, নারকেলের চিনি বা গুড়ের বাতাসা যোগ করতে বলেন। চিনির বিকল্প হিসাবে এগুলি অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু সুইটনার বা কৃত্রিম চিনির অভ্যাসে মানসিক তৃপ্তি ছাড়া আর কোনও উপকার নেই।

সাপ্লিমেন্ট প্রোটিন বার

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজের পছন্দ মতো বা বিজ্ঞাপনে দেখে কোনও সাপ্লিমেন্ট বা প্রোটিন বার কেনার আগে সাবধান। বাজারচলতি সব সাপ্লিমেন্ট বা প্রোটিন বার ভাল নয়। কোনটা খাবেন, কোনটা বাদ দেবেন এগুলি না জানলে বিপদ আপনার। এর অনেকগুলিতেই কৃত্রিম উপাদানের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই তা ক্ষতি ডেকে আনে।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/