ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

এ দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ঠাঁই নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০০ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান, খ্রিস্টান সবাই মিলেই আমরা বাঙালি। এদেশে সন্ত্রাসীর কোনো জায়গা নেই, জঙ্গির জায়গা নেই। আমরা আগুন সন্ত্রাস দেখেছি। এরপর অসাম্প্রদায়িক দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান যাজকসহ ধর্মীয় গুরুদের হত্যার দৃশ্য দেখেছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডাকলেন, নির্দেশনা দিলেন, সব ধর্মীয় নেতাকে ডেকে এক করার জন্য। এক জায়গায় বসে আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। প্রত্যেক জেলা সফর করেছিলাম। আমরা সবার সহযোগিতায় সাম্প্রদায়িক হানাহানি বন্ধ করতে পেরেছি। দু-একটা ঘটনা যে ঘটছে না তা নয়; তবে তা বিচ্ছিন্ন। এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্মেলন উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের। আর আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সে জন্যই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের ব্রতই অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়া। তবে স্বাধীনতার কয়েক বছর পরেই অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমরা একটা ঝাঁকুনিও খেয়েছিলাম। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যার ডাকে আশ্বস্ত হয়েছিল মানুষ। সারাদেশের মানুষ বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধুর যোগ্য নেতা শেখ হাসিনা। তার ডাকে সবাই আমরা একতাবদ্ধ হয়েছি। তিনি একে একে চারবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, ক্ষুদা দারিদ্র্যসহ সব সমস্যা মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে একটা অবস্থানে নিয়ে গেছেন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের পূজা উদযাপনে একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পেতেন। আপনাদের দাবি আরও একজনকে সংযুক্ত করা। সে নির্দেশনা আমি দেব। কারণ আমরা চাই শান্তি, আমরা থমকে যেতে চাই না, এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। যেন পথ না হারায় বাংলাদেশ।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের মন্দির সংস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আপনাদের কোনো দাবি অপূর্ণ থাকবে না। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরও দিয়েছেন। কারণ তিনি এ দেশ ও মানুষকে ভালোবাসেন। আর আপনাদের দাবি করে দাবি আদায় করতে হবে না। এমনিই আপনারা পাবেন। কারণ আমরা একসাথে চলতে চাই। এটাই আমাদের ঐতিহ্য। আমরা এটাই স্বপ্ন দেখে আসছি। কারণ ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’

এসি