ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ২ ১৪৩১

শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৫ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৪:০১ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

‘জাতির পতাকা হাতে স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমরাই মুজিব’ শ্লোগানকে সামনে রেখে পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে দেশব্যাপী গবেষণা ভিত্তিক শিল্পযাত্রা ‘শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবর্ষ শীর্ষক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রায় দুই’শ শিশুর অংশগ্রহণে সকাল ১১টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এর আগে সকাল ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে একাডেমির সচিব ড.কাজী আসাদু্জ্জামান এর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান একাডেমির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। বিকাল ৩টা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দিনব্যপী আয়োজনে ছিলো শিশুদের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শিশুদের আনন্দযোজ্ঞ, পিপলস্ লিলট থিয়েটারের পরিবেশনায় নাটক মুজিব মানে মুক্তি, শতবর্ষের শিল্পযাত্রা ক্যানভাসে শিশুদের ছবি আঁকা, শিশুদের সম্মেলক ও একক গান, গল্পে গল্পে বঙ্গবন্ধু, শিশুদের জন্য বড়দের সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান, অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত সকল গ্রন্থ সংগ্রহ ও একাডেমির গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করা হয়।

শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী-দিনব্যাপী আয়োজনে ছিলো চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত ছয়টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। বিকাল ৪টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শনী শুরু হয়। শিশুতোষ চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে জামসেদুর রহমান সজীব এর ‘বাড়ি ফেরা’, রহমান লেলিন এর ‘মন ফড়িং’, তারেক আজিজ নিশক এর ‘সমান্তরাল যাত্রা’, মো. তাওকীর ইসলাম এর আয়না, লুসি তৃপ্তি গোমেজ এর ‘ডাকঘর’, এবং আবদুল্লাহ আল হারুন এর বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’। প্রদর্শনী শেষ হয় সাড়ে ছয়টায়।

একাডেমির গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ১৭ মার্চ বিকেল ৩ টায় একাডেমির গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গ্রন্থের সংগ্রহ নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার-এর উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর সাধারণ জীবনযাপনের কথা স্বরণ করে বলেন মহাপরিচালক বলেন, ‘যার কারণে পৃথিবীর ভৃখণ্ডে নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে আমরা মাথা তুলে দাড়িয়েছি। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৯৯ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাকে নিয়ে প্রায় ১২’শ গ্রন্থ রচিত হয়েছে। সবগুলো সংগ্রহের কাজ চলছে। এর মধ্যে তিনশত বই এর সংগ্রহ নিয়ে আমরা শুরু করলাম বঙ্গবন্ধু কর্ণার।’ তিনি উপস্থিত শিশুকিশোরদেরকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বই পড়ার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য,আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির বিষয় ভিত্তিক বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গ্রন্থাগার প্রতিদিন ৯টা থেকে ৫টা পর্য্যন্ত জনসাধারণের খোলা থাকে।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা-জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিশুদের উদ্দেশ্যে উৎসাহমূলক বক্তব্য রাখেন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এরপর পিপলস লিটল থিয়েটারের নাটক ‘মুজিব মানে মুক্তি’ পরিবেশিত হয়। সম্মেলক গান পরিবেশন করে মাস্টার মাইন্ড স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর রমনা শাখা, বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, হলিক্রস কলেজ, ম্যপললীফ ইন্টা. স্কুল, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত দলের শিক্ষার্থীবৃন্দ। নৃত্য পরিবেশন করে দীব্য নৃত্যকলা কেন্দ্র ও একাডেমির নৃত্যদল। একাডেমির শিশু অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। একক গান পরিবেশন করে শিশুশিল্পী সুরাইয়া আক্তার সুবর্ণা, রাইয়ান বিনতে হাবিব, ওয়াজিউর রহমান, সৃজনী সরকার জিতু ও গুনগুন।

কেআই/