ঢাকা, রবিবার   ২৬ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১২ ১৪৩১

প্রস্তাবিত ভ্যাটের হার: মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যবসায়ীদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৩ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

নতুন আইনে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) হার নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ীরা।

নতুন আইনে ভ্যাটের হার অভিন্ন নাও থাকতে পারে। প্রস্তাবিত হার তিনটি হতে পারে এবং তা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। অন্য দুটি হচ্ছে ৫ ও ৭ শতাংশ। সম্প্রতি এক প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে অর্থমন্ত্রী এমন আভাস দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, এটি একেবারেই প্রাথমিক প্রস্তাব। এ নিয়ে ব্যবসায়ীসহ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা শেষে চূড়ান্ত করা হবে।

ভ্যাটের আওতা বাড়ানোর সুযোগ সীমিত বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কারণ এ অবস্থায় সর্বোচ্চ হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করলে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

আবার অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবটি ভালো বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, একাধিক হার কার্যকর হলে এবং হার কমলে রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে।

এ বিষয়ে ভ্যাট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অভ্যন্তরীণ ভ্যাট আদায় সিগারেট, মোবাইল, গ্যাসসহ গুটিকয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। নতুন হার কার্যকর করলে এসব খাত থেকে আদায় কমবে। তাই সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এদিকে এনবিআর সূত্র জানাচ্ছে, রাজস্ব আয়ে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। যে পরিমাণ ভ্যাট কমানো হবে, সেই পরিমাণ সম্পূরক শুল্ক্ক বাড়ানো যেতে পারে। এতে রাজস্ব আয় কমবে না।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরামর্শে ২০১০ সালে নতুন ভ্যাট আইন প্রণয়ন করা হয়। আর ২০১২ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদে তা পাস হয়। এরপর ২০১৭ সালের জুলাই থেকে তা বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার কারণে ওই অর্থবছরের বাজেট পাসের দিন সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই বছরের জন্য ভ্যাট আইন স্থগিত করেন। এবং তা চলতি বছরে জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।