ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অধ্যাপক গোলাম মুরশিদকে সংবর্ধনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৯ বুধবার

বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির অন্যতম লেখক গবেষক গোলাম মুরশিদ বলেন, ‘বিধাতা আমাকে কম মেধা দিয়েছেন। যতটুকু দিয়েছেন ততটুকুকে ঘষেমেজে উজ্জ্বল করেছি। অধ্যবসায় দিয়েই যা পাওয়ার পেয়েছি। আমি কাজকে জীবন, জীবনকে কাজ বলে মনে করি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করতে চাই। রবীন্দ্রনাথের আদর্শ নারী, বাংলা গানের ইতিহাস ও বাঙালি স্থাপত্যকলা নিয়ে লিখতে চাই। উপন্যাস লিখতে চাই, আত্মজীবনী লিখতে চাই।’

গতকাল মঙ্গলবার নিজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন তিনি। বিচিত্র সব বিষয় নিয়ে নিরলসভাবে গবেষণা করে চলেছেন বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির অন্যতম এই লেখক গবেষক। যার মধ্যে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, জীবনী, ভাষাতত্ত্ব, অবিধানসহ নানা বিষয় রয়েছে।

আগামী ৮ এপ্রিল গোলাম মুরশিদের আশিতম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে জন্মোৎসব আয়োজন হয়। যার মধ্য দিয়ে গুণী এই গবেষককে সংবর্ধনা জানানো হয়।

যৌথভাবে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ চর্চা পাঠচক্র ও প্রকাশনা সংস্থা কথাপ্রকাশ। অনুষ্ঠানে কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘গোলাম মুরশিদ সংবর্ধনা গ্রন্থ’ এবং তার লেখা ‘শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী।

আনিসুজ্জামান বলেন, নজরুল, মাইকেল মধুসূদন থেকে শুরু করে বাঙালি নারীর ইতিহাস নিয়ে তিনি চমৎকার গবেষণা করেছেন। গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি নতুন পথ দেখিয়েছেন। তিনি একজন বিরল গবেষক।

প্রসঙ্গত, গোলাম মুরশিদ দেশের বাইরে অবস্থান করায় অনেকটাই দৃষ্টির আড়ালে থাকেন।