ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

প্রয়াত শাহ আলমগীরের স্মরণে সভা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ২২ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সদ্য প্রয়াত মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের স্মরণে সভা করছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। আজ শুক্রবার এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) মারা যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর। এর আহে ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শাহ আলমগীর শুধু ভালো সংবাদকর্মীই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন। তার জীবদ্দশায় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

প্রয়াত শাহ আলমগীরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায়। বাবার চাকরির সুবাদে তার জীবনের একটি বড় অংশ কাটে বৃহত্তর ময়মনসিংহে।

শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা পেশার শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। এখানে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদে।

প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আই এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং শিশু ও কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘চাদের হাট’র সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৮ সালে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়।

একে//