ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

মুসলমানদের প্রতি সংহতি প্রকাশ

মাথায় স্কার্ফ দিলেন নিউজিল্যান্ডের এই নারী পুলিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৫ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৪৩ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

মুসলমানদের প্রতি সংহতি প্রকাশে এক পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় স্কার্ফ।

মুসলমানদের প্রতি সংহতি প্রকাশে এক পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় স্কার্ফ।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর মাথায় ওড়না জড়িয়ে মুসলিম জাতির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মেমোরিয়াল পার্ক সমাধিক্ষেত্রে একজন নারী পুলিশকে মাথায় ওড়না পরে এবং বুকে লাল গোলাপ নিয়ে পাহাড়া দিতে দেখা যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে এ অবস্থায় দেখা যায়। পরে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

নেটিজেনরা ওই নারী পুলিশের এই ছবিটিকে সংহতি, সম্মান ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে এটি ‘অত্যন্ত শক্তিশালী’ একটি ছবি।

ওই নারী পুলিশ সদস্যের নাম মাইকেল ইভানস। তিনি মাথায় কেলভিন ক্লেইন স্কার্ফ জড়িয়ে, বুকের ওপর লাল গোলাপ নিয়ে এবং বুশমাস্টার সেমি-অটোমেটিক রাইফেল হাতে নিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।

ছবিটি তুলেছেন নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘স্টাফ’ এর ফটো সাংবাদিক আলডেন উইলিয়ামস।

তিনি বলেন, “সাংবাদিকতা জীবনে অনেক পুলিশ সদস্যের ছবি তুলেছি। কিন্তু মাথায় হিজাব, হাতে অ্যাসল্ট রাইফেল আর বুকে লাল গোলাপ- এর মতো অসধারণ সামঞ্জস্যের এরকম ছবি আগে কখনো দেখেনি।’

সাংবাদিক আলডেন উইলিয়ামস বলেন, “অধিকাংশ গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতে আসা মগরেল মবদের ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। তখন আমি এই ছবিটি তুলি।”

ছবিটি প্রথমে শেয়ার করা হয় ’স্টাফ’ এর লাইভ ব্লগে। সেখানে মুহূর্তেই এটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। পরে সেটি ফটোগ্রাফার উইলিয়ামস তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও শেয়ার করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই প্লাটফর্মে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ছবিটি এত পরিমাণে লাইক পায়, যা অন্য সবগুলো ছাড়িয়ে যায় মুহূর্তেই।

ছবিটি নিয়ে অনেকে কমেন্টও করেছেন। একজন লিখেছেন, “ছবিটি নিউজিল্যান্ডের সহিষ্ণুতা, সমবেদনা এবং মানবতার এক বলিষ্ঠ উদাহরণ।”

এমএইচ/