ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

উপজেলা নির্বাচন

লোহাগড়ায় স্বতন্ত্র, নড়াইল-কালিয়ায় নৌকা

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৩৮ এএম, ২৫ মার্চ ২০১৯ সোমবার

নড়াইলের তিনটি উপজেলার মধ্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু (আনারস প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৩১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাশিদুল বাসার ডলার পেয়েছেন ২১ হাজার ২৫৫ ভোট। এ ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ৬২ ভোটে ডলারকে হারিয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রুনু। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বি এম কামাল হোসেন এবং নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ফারহানা ইয়াসমিন। 

এ দিকে নড়াইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে ৪১ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন খান নিলু। বিদ্রোহী প্রার্থী নড়াইল পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বিপ্লব বিশ্বাস বিলো (স্বতন্ত্র) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৩২ ভোট। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তোফায়েল মাহমুদ তুফান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইসমত আরা। 

অপরদিকে কালিয়া উপজেলাতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ। তিনি পেয়েছেন ৪২ হাজার ৮৪৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হারুনার রশিদ পেয়েছেন ২০ হাজার ৬১৪ ভোট। এ ক্ষেত্রে ২২ হাজার ২৩৫ ভোটে হারুনকে হারিয়েছেন কৃষ্ণপদ। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন- ইব্রাহিম শেখ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন নিরি।

রোববার রাত ১১টার দিকে নড়াইলের তিনটি উপজেলার ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

এর আগে সুষ্ঠু সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) হাবিবুর রহমান বিপিএম, জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) ছাড়াও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনের পরেও স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট রয়েছে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।

একে//