২৫শে মার্চের ভয়াল কাল রাত আজ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৯ সোমবার

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গোটা বাংলা যখন মুক্তির স্বপ্নে বিভোর ঠিক সেসময়ে ২৫ মার্চের কাল রাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ঢাকাসহ গোটা বাংলায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটায় পাকিস্তানিরা। তারা ভেবেছিলো হত্যার মাধ্যমেই বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে থামিয়ে দেয়া যাবে। কিন্তু বাঙালির প্রতিরোধেই ধসে পড়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভীত। দিনটি জাতীয়ভাবে ‘গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
তখন মধ্যরাত, নিরস্ত্র বাঙালীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানী বাহিনী। আগে থেকেই পরিকল্পনা করা অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা বাস্তবায়নে ২৫ শে মার্চ রাতের অন্ধকারে হত্যাযজ্ঞে মাতে পাক সেনারা।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতেও হানা দেয় পাকিস্তানি সেনারা। গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন শহরে মেশিন গান, মর্টারশেল নিয়ে চলে পাকিস্তানিদের নির্মমতা।
পিলখানায় ইপিআর সদরদপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের হলগুলোতে পাকিস্তানি হয়েনাদের পৈশাচিক হামলা।
জগন্নাথ হলে ঢুকে ৩১জনকে সারি বেধে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার। ওই লাইনে ছিলেন রবীন্দ্র মোহন দাস, আগেই পড়ে যাওয়ায় বেঁচে যান। দুঃসহ সেই স্মৃতি আজো তার স্মৃতিতে ভাসে।
তখন জগন্নাথ হলের প্রভোষ্ট ছিলেন অধ্যাপক জ্যোতিরম্যয় গুহ ঠাকুরতা। পাকসেনারা তাঁকেও গুলি করে। সেই গুলির আওয়াজ আজও ভুলতে পারেন না তাঁর কন্যা মেঘনা গুহ ঠাকুরতা।
তখনকার ইকবাল হল বর্তমান জহুরুল হক হলে অন্যদের সাথে নিহত হন নৈশপ্রহরী মোহম্মদ শামসুদ্দিন। স্বামী হারানোর সে যন্ত্রনায় আজও হাহাকার তার হৃদয়।
পাকিস্তানি সেনারা জ¦ালিয়ে দেয় দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের আফিস কক্ষ। প্রতিরোধ গড়ে তোলে রাজারবাগে বাঙালী পুলিশ সদস্যরা।
পাকিস্তানিদের হাতে গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ইপিআর ওয়ারলেসে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় সশস্ত্র যুদ্ধ।