ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

রুহুল আমিনের জামিন আবেদন খারিজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩১ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৯ বুধবার

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৪ সন্তানের জননীকে (৩২) গণধর্ষণের মামলায় আসামি রুহুল আমিনের আইনজীবীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুহুল আমিনের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৭ মার্চ) এ রুল জারি করেন।

আদেশের পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আমি আগেও বলেছি এ জামিন আবেদনে তথ্য গোপন করা হয়েছে। আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ভিকটিম নারীর ২২ ধারায় জবানবন্দি যুক্ত করা হয়নি। এগুলো যদি থাকতো কোর্ট হয়তো ওইদিনই জামিন আবেদন খারিজ করে দিতেন।

আজ আদালত রুহুল আমিনের জামিন আবেদনটাই খারিজ করে দিয়েছেন। এছাড়া তথ্য গোপনের অভিযোগে তার আইনজীবী ও হলফনামাকারী জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে রুল দিয়েছেন।

গত ১৮ মার্চ হাইকোর্ট থেকে একবছরের জামিন পান রুহুল আমিন। তার আইনজীবী ছিলেন আশেক ই রসুল।

জামিনের বিষয়টি জানার পর ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় বলেছিলেন, আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে এ আবেদনের একটি অনুলিপি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাতে অন্য কোর্টের কথা বলা ছিল। আমাদের কোর্টের কথা ছিল না। কিন্তু তারা আমাদের কোর্টে শুনানি করে জামিন পেয়েছেন। এমনকি আবেদনে আসামিদের জবানবন্দির কথাও উল্লেখ করা হয়নি।

এর মধ্যে গত ২৩ মার্চ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় জানান, শনিবার (২৩ মার্চ) চেম্বারে আদালত বসে ১৮ মার্চের আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) করে আদেশ দেন।

ফলে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে যে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলো সেটা বাতিল হয়ে গেছে এবং সেটা আর কার্যকর থাকলো না বলে ওইদিন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্গা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়। ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৩১ ডিসেম্বর চর জব্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

আরকে//