ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

মোদির ভাষণে ক্ষুব্ধ মমতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৯ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজ্ঞানীদের সাফল্যের কৃতিত্ব নিতে চাইছেন মোদী। ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে তিনি এই নাটক করছেন।

ভোটের মুখে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সাফল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে তৃণমূল। একই অভিযোগ করে বুধবারই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএমও। অভিযোগ উড়িয়ে অবশ্য বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। নির্বাচন কমিশন সূত্রের বক্তব্য, সাধারণত দেশের সুরক্ষার বিষয় আদর্শ আচরণবিধির ঊর্ধ্বে থাকে। তা সত্ত্বেও অভিযোগ ওঠায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা ও সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মহাকাশে বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যকে সামনে রেখে এদিন ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ’ দিয়েছেন মোদী। তারপরই তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা। বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানালেও ভাষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বিজ্ঞানীদের সাফল্যের কৃতিত্ব নিতে চাইছেন মোদী। ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে তিনি এই নাটক করছেন।’’ কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, ‘‘আমি তো ভাবছিলাম, উনি হয়তো বলবেন যে আর ভোটে দাঁড়াবেন না! উনি বলবেন জেনে সকাল থেকে মনে হচ্ছিল, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। কিন্তু ছোট্ট মেঘও তো দেখা গেল না!’’ মমতা বলেন, ‘‘এই কৃতিত্ব দেশের বিজ্ঞানীদের। একদিনে এটা হয়নি। অনেক বছর ধরেই এই উৎকর্ষ চলছে। তাঁদের জন্য আমরা গর্বিত। তাঁদের সম্মান করি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই ভাষণ দিয়ে মোদী নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন।’’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বক্তব্য, ‘‘দেশের সুরক্ষার জন্য প্রকল্প সব সময়ই চালু আছে। ৩৬৫ দিনই থাকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ভাল লাগছে না বলে সুরক্ষা নিয়ে প্রকল্প থেমে থাকতে পারে না।’’

ভোট ঘোষণার পরে দূরদর্শন, বেতার কেন্দ্রকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস ও সিপিএমও। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কংগ্রেস জানিয়েছে, এই বিষয়টি দলের লিগাল সেল খতিয়ে দেখবে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী অভিযোগ তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রী রুটিরুজি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। নিজের প্রচারে নিখরচায় টিভি-রেডিও ব্যবহার করছেন।

জেটলির অবশ্য বলেন, ‘‘বালাকোটের পরে প্রশ্ন তুলে বিরোধীরা যে ভুল করেছিলেন, ইতিহাস তা শোধরানোর সুযোগ দিয়েছে।’’ ভোটের ঠিক আগে এই পরীক্ষা নিয়ে জেটলির দাবি, ‘‘লোকসভা ভোট এখন না হলেও এই পরীক্ষা হত। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা বা ভোট না থাকলেও, বালাকোটে জঙ্গিরা ভারতে হামলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন শুনলে সেখানে বায়ুসেনা হানা দিত।’’

সূত্র-আনন্দবাজার

আরকে//