ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন বন্ধ হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪৬ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধ হচ্ছে। তবে, সরকার কোনো বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করেনি, শুধু আইন প্রয়োগ করেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সচিবালয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশে ভারতের জি-নেটওয়ার্কের সব চ্যানেল বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬’ অনুযায়ী, বিদেশি কোনো চ্যানেলে দেশের কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায় না। একই ধরনের আইন ভারতে আছে, যুক্তরাজ্যে আছে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে আছে, অন্য দেশে আছে। সেসব দেশে এই আইন মানা হয়। তবে, বাংলাদেশে এই আইনটি মানা হচ্ছিল না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এতদিন আইনটি প্রয়োগ করা হয়নি। এটি না করার কারণে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো যে বিজ্ঞাপন পেত সেই বিজ্ঞাপনের বড় একটা অংশ চলে গেছে ভারতে। ডাউনলিংক করে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় তখন আমরা নোটিশ দিয়েছি। আমরা কোনো চ্যানেল বন্ধ করিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক করে না, যারা করে তারাই বলতে পারবে এটা কেনো বন্ধ হয়েছে। আমরা নোটিশ দিয়ে সাতদিনের মধ্যে তাদের কারণ দর্শাতে বলেছি। সাতদিনের মধ্যে জবাব দিক, এরপর জবাব অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে হাছান বলেন, “আপনাদের (সাংবাদিক) সহযোগিতা চাই, আমরা কোনো নতুন আইন প্রয়োগ করছি না, দেশের প্রলচিত আইন প্রয়োগ করা শুরু কেরছি, দেশর স্বার্থে, দেশের গণমাধ্যমের স্বার্থে, দেশের টেলিভিশনের স্বার্থে, টেলিভিশনের সঙ্গে সম্পর্কিত যারা আছেন, তাদের স্বার্থে।

“আপনারা আমার কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন অনেক টেলিভিশন চ্যানেলে বেতন দেওয়া হচ্ছে না, তিন মাস ধরে বেতন পায় না, হঠাৎ করে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। আমরা যখন মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা জানিয়েছেন পরিচালনা ব্যয় বেড়ে গেছে, বিজ্ঞাপন ছাড়া টেলিভিশনের কোনো আয় নেই। এই বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন প্রদর্শন অব্যাহত থাকে তাহলে এখন যে আয় আছে সেটাও কমে যাবে।”

বাংলাদেশের শিল্পকে সুরক্ষা দিতেই আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং এ আইন প্রয়োগ করার আগে দুমাস ধরে প্রচারণা করেছি। তিন দফা নোটিস দিয়েছি। ১ এপ্রিলও যখন দেখতে পেলাম বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হচ্ছে, তখন আমরা আইন মোতাবেক নোটিস দিয়েছি।


এসএইচ/