ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

শত ভাবনার বিকাশে বাতিঘরে লেখক-পাঠক আলাপন 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৭ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার

‘দেশপ্রেমের পাশাপাশি পুরো মানবজাতির কল্যাণে বিশ্বপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। সবার সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিরলস কাজ করে যেতে হবে। নিষ্ক্রিয় থাকলে চলবে না। আমরা জন্মেছি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। সব সময় আমাদেরকে সামনের দিকেই এগিয়ে যেতে হবে। জীবনে পতন বলতে কিছু নেই। উত্থান-পতন নয়, কাজের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছি কিনা সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।’

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বিকশিত হোক শত ভাবনা’ এই বই নিয়ে ‘লেখক-পাঠক আলাপন’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আমন্ত্রিত অতিথি লেখকবৃন্দ।

লেখক-আলোচকদের মধ্যে অলোচনা করেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম শমশের আলী, ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী, অধ্যাপক ডা. তাহমীনা বেগম এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এম রেজাউল হাসান।

আলোচকরা আরও বলেন, তরুণদের শুধু বয়স বা শারীরিক বিকাশ নয়, মানসিক বিকাশও ঘটাতে হবে। বস্তুগত চাওয়া-পাওয়া নয়, নৈতকতায় এগিয়ে যেতে হবে,সৃজনশীল হতে হবে। মানসিক উন্নতির মাধ্যমে নিজের জীবনকে স্বার্থক করে গড়ে তুলতে হবে। মৃত্যুকে কতটা মহিমান্বিত করা যায় একজন মানুষের স্বপ্ন সেটাই হওয়া প্রয়োজন। 

অনুষ্ঠানে ‘বিকশিত হোক শত ভাবনা’ বই থেকে নির্বাচিত অংশ পাঠের পাশাপাশি চলতে থাকে পাঠকের কাছ থেকে প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তর দেন লেখকরা। চলতে থাকে আলোচনা। এভাবেই পুরো অনুষ্ঠান মুখরিত হয়ে ওঠে লেখক-পাঠকের নানামুখী চিন্তা ও ভাবনার আদান-প্রদানে। 

লেখক-পাঠকের উপলব্ধি-জগতকে আলোড়িত ও সংহত করার পাশাপাশি কোয়ান্টাম আয়োজিত এমন আয়োজন মানুষের আত্মবিকাশের পথে অক্লান্ত হেঁটে চলার সাহস ও শক্তি জোগাবে। এমনটাই বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট আয়োজকদের। তারা মনে করেন, মুক্তচিন্তা মনের জানালা খুলে দেয়। নতুন প্রেরণা জোগায়। মানুষকে করে তোলে আশাবাদী।

প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সমাজ-সচেতন, কর্মপ্রাণ ও সার্থক মানুষদের চিন্তা জ্ঞান প্রজ্ঞার এক অনুপম সম্মিলন ঘটেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ‘বিকশিত হোক শত ভাবনা’ সংকলন গ্রন্থে। কোয়ান্টামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নানা সময়ে আমন্ত্রিত ৩৩জন গুণী মানুষের প্রেরণার এই সংকলনে তাদের জ্ঞানঋদ্ধ আলোচনায় সমসাময়িক প্রসঙ্গের পাশাপাশি উঠে এসেছে সঙ্ঘবদ্ধতা, সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা ও মানবকল্যাণে কর্মব্যস্ততার সার্বজনীন গুরুত্ব।

ডা. আতাউর রহমান সম্পাদিত ‘বিকশিত হোক শত ভাবনা’ বইটি ১৭৬ পৃষ্ঠার। প্রচ্ছদ ও নকশা করেছেন মাসুম রহমান। বইটির মূল্য ২৪০ টাকা। সংকলন-গ্রন্থটি সর্বস্তরের পাঠককে বিশেষভাবে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কেআই/