ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এরশাদের অবর্তমানে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩০ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৩:৫০ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে অবস্থানকালে পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১-ক ধারা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে এক ‘সাংগঠনিক নির্দেশে’ উল্লেখ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপ্তিতে উল্লেখ্য করেছেন, “গত ২২ মার্চ তারিখে আমার স্বাক্ষরিত একটি সাংগঠিক নির্দেশ জারি করেছিলাম, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। উক্ত সাংগঠনিক নির্দেশ অত্র সাংগঠনিক নির্দেশ দ্বারা বাতিল ঘোষণা করছি।

“আমি আবারো জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমার অবর্তমানে বা চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে থাকাকালীন সময়ে পার্টির বর্তমান কো চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অত্র সাংগঠনিক নির্দেশ দ্বারা পুনর্বহাল করলাম।”

এরশাদ বলেন, “আমার অবর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে থাকাকালীন সময়ে পার্টির কো চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।”

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এরশাদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ভাই জি এম কাদেরকে দলের ‘ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান ‘হিসেবে ঘোষণা দেন।

১ জানুয়ারি দল প্রধানের সে সিদ্ধান্তে ‘নাখোশ’ ছিলেন দলের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা। দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় দলের জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্বের’ কথা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন জি এম কাদের। দলের সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য এসময় জি এম কাদেরকে হটাতে ‘চেষ্টা করেছিলেন’ বলে জানান দলের কজন জ্যেষ্ঠ সদস্য।

পরে গত ২২ মার্চ সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যর্থতা ও দলে বিভেদ তৈরির অভিযোগে জি এম কাদেরকে গত ২২ এপ্রিল দলের কো চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ। তাকে সাংগঠনিক সব কার্যক্রম থেকেও বিরত করেন তিনি কেড়ে নেওয়া হয় দলের উপনেতার পদ। তবে বহাল থাকে সভাপতিমণ্ডলীর পদ।

ভাইকে সরিয়ে স্ত্রী রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদে দলের উপনেতা করেন এরশাদ। এরশাদের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন রংপুর বিভাগের নেতারা। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, জি এম কাদেরকে পুনর্বহাল না করলে তারা একযোগে পদত্যাগ করবেন। মোস্তাক জানিয়েছেন, গত ৩ এপ্রিল তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এরশাদ জি এম কাদেরকে আবারও স্বপদে বহালের সিদ্ধান্ত নেন এরশাদ।