ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

রোনালদোর গোলেও জেতেনি জুভেন্টাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৯ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:০৫ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে তুরিনের বুড়িদের রীতিমত ভয় পাইয়ে দিয়েছিল আয়াক্স। কিন্তু প্রথমার্ধে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর করা একমাত্র গোলটিই বাঁচিয়ে দিয়েছে মাসিমিলানো আললেগ্রি শিষ্যদের। এতে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে স্বস্তির ড্র নিয়ে ফিরেছে জুভেন্টাস।

বুধবার রাতে ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় ম্যাচটি ১-১ সমতায় শেষ হয়। ফিরতি লেগে আগামী মঙ্গলবার অ্যালিয়্যাঞ্জ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।

চোট কাটিয়ে ফিরে প্রতিপক্ষের মাঠে আলো ছড়ালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের ১১তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা। কিন্তু কর্নার কিক থেকে তার দারুণ ভলি অল্পের জন্য মিস হয়।

অবশেষে ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে গোলের অপেক্ষার অবসান হয় সর্বশেষ ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা জুভেন্টাসের। কানসেলো অসাধারণ এক পাসে বল ডি-বক্সের দিকে পাঠিয়ে দেন আর তাতে ‘আনমার্ক’ অবস্থায় থাকা রোনালদো ডাইভ দিয়ে হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন। চলতি আসরে ৮ ম্যাচে এটি রোনালদোর পঞ্চম গোল।

প্রথমার্ধ শেষে এক গোলে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা মাঠ ছাড়লেও বিরতি থেকে ঘুরে আসার পর তা থাকেনি।

কারণ বিরতি থেকে ফেরার পরের মিনিটেই সমতায় ফেরে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে নিজেদের চতুর্থ এবং সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা আয়াক্স। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দাভিদ নেরেস একাধিক ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে দারুণ শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন।

ম্যাচের বাকি সময়টা শুধু আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের। অবশেষে ড্রতে শেষ হয় ম্যাচটি। আর এ ড্রয়ে আয়াক্সের ওপর আধিপত্য ধরে রাখলো ইতালির দলটি। কারণ অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে কিছুটা এগিয়ে জুভিরা। তাই পরের লেগে আয়াক্সকে হারাতে পারলে তো ভালো, না পারলেও গোলশূন্য ড্র করতে পারলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিতের সুযোগ থাকছে তাদের সামনে।

ইউরোপের প্রতিযোগিতায় আগের নয়বারের দেখায় কখনও নেদারল্যান্ডসের দলটির কাছে হারেনি জুভিরা। এর মধ্যে অবশ্য ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালও আছে। সেবার রোমে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারে জিতেছিল তুরিনের ক্লাবটি।

সূত্র: লাইভস্কোর ডটকম

একে//