ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক

জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

দেশে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করছে। এমনটি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অসচেতনভাবে সেবনের কারণে অধিকাংশ মানুষের শরীর অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। এর ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর`বি) মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে গতকাল বুধবার বক্তারা এসব কথা বলেন।

আইসিডিডিআর’বি এবং যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান লাফবোরো ইউনিভার্সিটি, ডারহাম ইউনিভার্সিটি ও ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি পরিচালিত বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ওপর সতর্কতা আরোপ করে বক্তারা বলেন, রোগমুক্তির লক্ষ্যে নিজেদের ইচ্ছায় বা ওষুধ বিক্রেতার পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সকে বিশ্বজুড়ে একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনো অ্যান্টিবায়োটিক যা আগে বিশেষ কোনো রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীবের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল, কিন্তু এখন তা আর কাজ করছে না, তখন তাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যাবশ্যক। কিন্তু অনেক ব্যাকটেরিয়াই এখন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অসুস্থতার সময় মানুষ কীভাবে নিজেদের এবং তাদের গবাদি পশু-পাখির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে, বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সম্পর্কিত গবেষণায় তা উঠে এসেছে। অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে মানুষ কোথায় যায়, কোন ধরনের অসুস্থতার জন্য মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক খোঁজে এবং অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে এই গবেষণায় ধারণা দেওয়া হয়েছে।

গবেষণা তথ্যের কথা উল্লেখ করে জানানো হয়, গবেষণায় এমবিবিএস ও পশুচিকিৎসক হতে শুরু করে ওষুধের দোকানিসহ মোট ৪৬ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। গবেষণায় অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও বিতরণের ক্ষেত্রে কী কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা জানার চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া গবেষণায় ৪৮টি খানাভিত্তিক সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে গবেষক দলটি অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি ও সেবন করার ক্ষেত্রে কিছু সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তনের কৌশল নির্ধারণ করে।

এসএ/