ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

জাহালমের জেল খাটার পেছনে দায়ীদের দেখতে চান হাইকোর্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২০ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার

সোনালী ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত মামলার ভুল আসামি হিসেবে বিনা দোষে জাহালমের তিন বছর জেলে থাকার পেছনে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জাহালমের জেল খাটার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুদকের করা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত দুদকের নথি জমা দিতে ২ মে পর্যন্ত সময় দিয়ে আদেশ দেন।

আদালতে আজ জাহালম উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অমিত দাশগুপ্ত। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

আজ শুনানি শুরু হলে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সময় চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় কোর্ট দেখেন, এ মামলার ফাইল আসেনি। তখন আদালত দুদকের আইনজীবীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত নথি দাখিল করতে হবে এবং জাহালমের জেল খাটার পেছনে কারা জড়িত সেই তদন্ত রিপোর্টও দাখিলের নির্দেশ দিয়ে ২ মে দিন ঠিক করে দেন।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান সময় চান। এরপর আদালত জাহালমকে আসতে বলে ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

এরও আগে গত ৬ মার্চ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ডুমুরিয়া গ্রামের জাহালমকে ২৬ মামলায় ভুল আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিলের যাবতীয় নথি তলব করেন হাইকোর্ট। পরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে ২৬ মামলায় অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও ৭ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় মামলাগুলোতে তার অব্যাহতির বিষয়ে আদেশ দেননি আদালত।

উল্লেখ্য, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন এই জাহালম। তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ বিচারকের উদ্দেশে তাকে বারবার বলতে দেখা যায়, ‘আমি আবু সালেক না।’

একে//