ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ধর্ষনের অনেক ঘটনাই চাপা পড়ে যায় (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫২ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ধর্ষণের মতো অপরাধ। মাত্র কয়েকদিন আগেই ফেনীর মদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান যৌন হয়রানির বিচার চাইতে গিয়েও অপমানিত হয়েছেন। পরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় নুসরাতকে। ধর্ষণের অনেক ঘটনা স্থানীয় সালিশ বৈঠকেই চাপা পড়ে যায়। এ অবস্থায় দ্রুত বিচারের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। নীপিড়ন বন্ধে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি করার সুপারিশ তাদের।

নারী নির্যাতন, ধর্ষন, হত্যাসহ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে দেশে আইনের অভাব নেই। কিন্তু প্রয়োগ নিয়ে আছে প্রশ্ন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, নিজের ঘরেই নারী সবচে বেশি সহিংসতার শিকার। বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার দুই-তৃতীয়াংশই পারিবারিক।

পুলিশের তথ্যনুাযায়ী ২০১০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ৭শ’ ৫২টি। পাঁচ বছর পর ২০১৫ সালে মামলার সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

গত পাঁচ বছরে শিক্ষকের দ্বারা সহ¯্রাধিক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। ক্ষোভে অভিমানে অনেকে অত্মহত্যা করেছে। আবার মুখ খুললে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় ভুক্তভোগীকে। সর্বশেষ এর বাস্তব উদাহরণ ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারা হয় নুসরাত জাহান রাফিকে।

যৌন নির্যতনের শিকার হয়ে বিচারের আশায় ঘুরছেন সোনালী ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তা। সহকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাও করেছেন তিনি।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিনে দিনে ছাত্রীদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। ছাত্রীর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে গেল বছর দিনাজপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ ১৪ জেলায় অন্তত ২১ জন শিক্ষককে গ্রেফতার হয়। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বরখাস্তও করা হয়।

বাংলাদেশে ধর্ষণ এবং নারীর প্রতি সংহিসতা বৃদ্ধির কারনে উদ্বিঘœ সমাজবিজ্ঞানী ও নারী আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। তারা বলছেন, মামলাগুলোর প্রতি পাঁচটির মধ্যে চারটিই আদালতে উঠতে দুই বছর সময় লেগে যায়।

ঘটনার পরে অভিযোগ করলেও বেশীরভাগই থেকে যায় লোক চক্ষুর অন্তরালে। তাই সচেতনভাবে অভিযোগ করার পরামর্শ পুলিশ কর্মকর্তার।

তদন্ত ও বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় পার পেয়ে যায় আসামীরা। আইজীবী ও সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন শুধু আইন করেই নারী নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। মূল সমস্যা নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। তাই বদলাতে হবে দৃষ্টিভঙ্গি।