ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

আমি ইন্দিরা গান্ধী নই: প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার

সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখার আগে থেকেই তুলনাটা ছিল। তবে ছিল। তবে তাঁর গুণমুগ্ধরা যা-ই বলুন না কেন, ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কোনও তুলনাতেই যেতে চান না স্বয়ং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বরং ইন্দিরার মতোই জনসেবা করে যেতে চান। নির্বাচনি প্রচারে কানপুরে গিয়ে এমনটাই বললেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, “তিনি ইন্দিরা গান্ধী নন, তবে তাঁর মতো কাজ করতে চেষ্টার কোনও কসুর করবেন না।”

শনিবার কানপুরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তার ঠাকুরমা তথা দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা টানেন এক কংগ্রেস কর্মী। সে সময় প্রিয়াঙ্কা বলেন, “ইন্দিরাজির সামনে আমি কিছুই নই। তবে জনসেবার যে ইচ্ছা তাঁর হৃদয়ে ছিল, তা আমার আর আমার ভাইয়ের মনেও রয়েছে। তা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। এবং সুযোগ দিন বা না দিন, আমরা আপনাদের সেবা করে যাব।”

গতকাল কানপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী শ্রীপ্রকাশ জায়সবালের হয়ে পথসভা করেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে বিজেপি সরকারকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “দু’ধরনের সরকার হয়... এক, যা জনগণের জন্য কাজ করে। দুই, যারা কেবলমাত্র নিজেদের উন্নতির জন্য কাজ করে। বিজেপি সরকার শুধুমাত্র প্রচার আর লোকদেখানোর জন্যই রয়েছে।”

আগামী ২৩ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের ১০টি আসনে ভোট। কানপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট পরের দফায়, অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল। সেই ভোটে প্রচারে গিয়ে প্রিয়ঙ্কার দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে কানপুরের কোনও উন্নতিই হয়নি। বিজেপি সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “কানপুরকে স্মার্ট সিটি করে দেবে বলেছিল ওরা। তবে এখনও পর্যন্ত সে সব কিছুই হয়নি।”

দেশের উন্নতিতেও মোদি সরকারের অবদান উল্লেখযোগ্য নয় বলে প্রিয়াঙ্কার দাবি। তাঁর কথায়, “দেশের যুবসমাজ বেকারত্বের শিকার। কৃষকেরা বিপুল ঋণের আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।”

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিজের ভাই তথা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীল তুলনা করেন প্রিয়ঙ্কা। মোদিকে দূর্বল নেতা বলে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এই দু’জনকে দেখুন। এক জনের (নরেন্দ্র মোদি) বিরুদ্ধ মত শোনার সহ্যশক্তিই নেই। আর অপর জনকে প্রতি দিনই এই সব লোকেদের (বিজেপি) থেকে নানা কুকথা শুনতে হয়— তাঁর (রাহুল গান্ধী) মায়ের সম্পর্কে, তাঁর বাবা-ঠাকুরমার সম্পর্কে, তা সত্ত্বেও সে হাসিমুখে সব শুনে যায়। সে অন্যের সমালোচনা না করে নিজেকে উন্নত করতে চায়। একেই বলে রাজনৈতিক সদ্দিচ্ছা!”

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার।

এসএইচ/