ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

জেনে নিন সাহরী, ইফতার ও ইতিকাফের ফজিলত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ৪ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১২:১৯ পিএম, ৪ মে ২০১৯ শনিবার

সাওম (রোযা) মাস, পূণ্যের মাস, রোযার সঙ্গে সঙ্গে সাহরী ও ইফতারে রয়েছে অনেক ফজিলত। সাহরীতে রয়েছে বরকত আর ইফতার হলো দু’আ কবুলের সময়। রমজানের শেষ দশকে রয়েছে ই’তিকাফ। ই’তিকাফে রয়েছে দুই হজের সওয়াব।


সাহরী: রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, সাহরীতে বরকত রয়েছে কাজেই সাহরী কখনও ত্যাগ করো না। কিছু পাওয়া না গেলে এক চুমুক পানি হলেও পান করে নাও। কেননা যারা সাহরী খায় ও পান করে, তাদের প্রতি আল্লাহ তা’আলা রহমত করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্যে দু’আ করেন। (মুসনাদ আহমদ, মা’আরিফ)

ইফতার : হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, সেই বান্দা আমার অধিক প্রিয়, যে যথাশীঘ্র ইফতার করে অর্থাৎ সূর্যাস্তের পর মোটেই দেরি করে না। (তিরমিযী)

হযরত সালমান ইবনে আ’ মেরের (রা.) বর্ণনায় রাসূলে আকরাম (সা.) বলেন, রোযাদার ব্যক্তি যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। খেজুর না পেলে পানি দ্বারাই ইফতার করবে। কেননা আল্লাহ তা’আলা পানিকে পাক-পবিত্র করে সৃষ্টি করেছেন। (মুসনাদ আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মা’আরিফ)।

হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলে করীম (সা.) মাগরিবের নামায আদায় করার আগে কয়েকটি খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। পাকা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। শুকনো খেজুরও না থাকলে কয়েক চুমুক পানি পান করে নিতেন। (তিরমিযী, মা’আরিফ)।

মু’আয ইবনে যুহায়রা তাবেঈ (রহ.) বর্ণনা করেন, একথা আমার কাছে পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইফতার করার সময় এ দু’আ পড়তেন- “আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া’আলা রিযকিকা আফতারতু। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।” অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার জন্যে রোযা রেখেছি এবং আপনার রিযিক দ্বারা ইফতার করলাম। (আবু দাউদ, মা’আরিফ)।

হযরত উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলে করীম (সা.) বলেন, ইফতারের সময় রোযাদারের একটি দু’আও প্রত্যাখ্যাত হয় না। (ইবনে মাজাহ, মা’আরিফ)।

রোযার নিয়ত : ইবাদতের জন্য নিয়ত অপরিহার্য। নিয়ত ব্যতীত পানাহার না করলে তা উপবাস হতে পারে কিন্তু রোযা হবে না। রোযার জন্য নিয়ত করা কর্তব্য। রোযার উদ্দেশ্যে শেষ রাতে সাহরী খাওয়া সুন্নাত। রোযার সংকল্প করে সাহরী খেলেও নিয়ত হয়ে যায়। ওই সময় নিয়ত না করে থাকলে দিনের বেলায় দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত অবশ্যই নিয়ত করতে হবে।

নিয়ত : হে আল্লাহ, আমি আগামীকাল আপনার জন্য রমজান মাসের ফরজ রোযা পালনের সংকল্প করছি। আপনি আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন। আপনি মহাশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী। নিজ ভাষায়ও নিয়ত হতে পারে। দিনের বেলায় নিয়ত করলে আগামীকালের স্থলে হবে আজকের দিন।

ই’তিকাফ: সহীহ হাদীসসমূহে বর্ণিত আছে যে, রমজানুল মুবারকের শেষ দশকে নবী করীম (সা.) এর জন্যে মসজিদে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া হতো এবং সেখানে পর্দার জন্য মাদুর অথবা ক্ষুদ্র তাঁবু লাগিয়ে দেয়া হতো। রমজানের ২০ তারিখে ফজরের নামাজ পড়ার জন্যে রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে তাশরীফ নিতেন এবং ঈদের চাঁদ দেখার পর সেখান থেকে বের হতেন। (মা’আরিফ) রমজানের শেষ ১০ দিনের ই’তিকাফে দুই হজ ও দুই উমরার সমান সওয়াব হয়। (মা’আরিফ)

ইতিকাফে কি কি বিষয় মুস্তাহাব : সৎ ও ভাল কথাবার্তা বলা। কুরআন তিলাওয়াত করা। দরূদ শরীফ পড়া। ধর্মীয় কিতাবাদি পড়া ও পড়ানো। ওয়াজ-নসীহত করা। পাঞ্জেগানা জামা’আত হয় এরূপ মসজিদে ই’তিকাফ করা।

এএইচ/টিআর