ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কংক্রিটের শহর এখন লাল কৃষ্ণচূড়ার দখলে

নিলয় মামুন

প্রকাশিত : ১০:২৪ পিএম, ৭ মে ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৩৬ পিএম, ৭ মে ২০১৯ মঙ্গলবার

বৈশাখের তপ্ত রোদে অতিষ্ঠ জনজীবন। যেন রাস্তায় বের হওয়ার উপক্রম নেই। সূর্য্যিমামা সমস্ত তেজ যেন ঢেলে দিয়েছে। চারদিকে ক্লান্ত পথিকের শুধু হাঁসফাঁস। এমন রোদ্দুরে একটুখানি প্রশান্তির ছোঁয়া খুঁজে ফিরে দু’চোখ। নিমিষেই ক্লান্ত চোখ ও মনকে জুড়িয়ে দিতেই যেন রাস্তার দুধারে ফোটে আছে রঙিন কৃষ্ণচূড়া  ফুল।

লাল-হলুদ ফুটন্ত এসব ফুলগুলো যেন পসরা সাজিয়ে বসেছে প্রশান্তির। কংক্রিটের শহরে যেদিকে চোখ যায় শুধু চোখে পড়ে, আকাশচুম্বী দালান। সেই শহরে এখন কৃষ্ণচূড়া ফুলের আধিপত্য। গ্রীষ্মের অতি পরিচিত এই  ফুল রাজধানীকে রাঙিয়ে তুলেছে। নগর জীবনের সকল বিড়ম্বনা ও হতাশার ভেতরও যেন সামান্য হলেও মনে দোলা দিয়ে যায় এই ফুল। রাজধানীর প্রধান প্রধান বেশিরভাগ সড়কের পাশেই এখন এ ফুল ফোটতে দেখা যাচ্ছে। এমন মন মাতানো ফুলে যেন খুশির আবিরে ছড়িয়ে পরেছে সবখানে। সেই সঙ্গে কৃষ্ণচূড়ার লাল টুকটুকে আদুরে পাপড়ি দিয়ে ছেয়ে গেছে সবুজ শ্যামল পরিবেশ।  

কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ সৌন্দর্য সকলের মন ছাপিয়ে কবির হৃদয়ে দোলা দিয়েছে। বাঙালীর কবিতা, সাহিত্য, গান কিংবা উপমায় এ ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় এসেছে। কখনো গানে গানে মাতিয়ে তোলে আমাদের। ‘‘কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে, তুমি আসবে বলে রঙধনুটা মেঘ ছুয়েছে আকাশ জুড়ে, তুমি আসবে বলে’’।আবার কবিতায়,‘‘কৃষ্ণচূড়া লাল রঙেতে,ভরিয়েছে বসন্ত। আমার মনের কষ্ট,কেন ভরায় হৃদয় দিগন্ত!’’।

সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম  হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চলব্যাপী ছড়ায়। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ।এ অঞ্চলে এপ্রিল থেকে জুন মাসে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে। তবে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটতে দেখা যায়।

এনএম/কেআই