ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

রাস্তাঘাটের শরবত কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত?

অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহত

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ৯ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

সুপ্রিয় পাঠক, বছরে একমাস আমরা রোজা পালন করি। বাকি এগারো মাস কিন্তু আমরা খাওয়া দাওয়ার মধ্যে থাকি। ফলে এই একমাস যেহেতু অন্যরকম রুটিনে থাকি তাই খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। আজ আমরা আলাপ করব তেমনি কয়েকটি প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।

এবার রোজা চলছে খুব গরমের মধ্যে। আমরা দৈনিক পনের ঘণ্টা রোজা রাখছি। তাই খুব বেশি পানি খাওয়ার প্রয়োজন আছে। যেহেতু দিনে রোজা রাখা অবস্থায় পানি খাওয়া যাবেনা তাই পানি খেতে হবে ইফতারের পর থেকে সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে। খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন অবশ্যই ফুটানো ও বিশুদ্ধ পানি হয়।

গরমের দিনে আমরা দেখি রাস্তাঘাটে নানা ধরনের শরবতসহ মুখরোচক খাবার বিক্রি করছে। কখনো কখনো এসব খাবারকে আকর্ষনীয় করার জন্য নানা ধরনের কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো খুবই বিপজ্জনক।

এসব শরবত থেকে `এ` ভাইরাস, `ই` ভাইরাস, ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। শরবত খাওয়া ভাল। কারণ শরবতে যে চিনি থাকে তা শরীরের জন্য কার্যকরী। কিন্তু সেটা যদি রাস্তাঘাটের শরবত হয় তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

আমাদের এ অঞ্চলের মানুষ বংশ পরষ্পরায় ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়ে আসছে। পেঁয়াজু, বেগুনি এমন নানা খাবার। অভ্যাস ও রুচির কারণে রাতারাতি এসব খাবার বাদ দেওয়া সম্ভবও নয়। আমি বাদ দেওয়ার জন্য বলব না। খাচ্ছেন খান। কিন্তু কম খান। আস্তে আস্তে কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন।

রমজান একটা উৎসবমুখর মাস। কমবেশি সবার প্রচুর দাওয়াত থাকে। তবে খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে সংযমী হওয়া ভাল। নিজেকে যতো সংযমী করা যায় ততোই ভাল। সহজে হজম হয় এমন খাবারকে গুরুত্ব দেওয়া ভাল।

এবার রোজা চলছে গ্রীষ্মে। চারদিকে ভয়াবহ গরম। রোদটা যদি সম্ভব হয় এড়িয়ে চলুন। যেহেতু রোজা রাখা অবস্থায় পানি খাওয়া যাচ্ছে না তাই রোদে ঘোরাঘুরি করলে প্রচুর গরমে হিটস্ট্রোক বা পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না। যেমন ট্রাফিক পুলিশ বা রিক্সাচালকদের রাস্তায় থাকতে হয়। এরপরও যতোটুকু সম্ভব সতর্ক থাকা ভাল।

আসুন, আমরা সতর্ক হই। সংযমের মাসে সংযমী হওয়ার চেষ্টা করি। সবাইকে ধন্যবাদ।

(লেখক: চেয়ারম্যান, হেপাটোলজী বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।)

আআ//