ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সেশনজটের কবলে বেরোবির উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্ট্যাডিজ বিভাগ

বেরোবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৭:৪৯ পিএম, ১০ মে ২০১৯ শুক্রবার

প্রতিষ্ঠার ১১তম বছরে এসেও সেশনজটের কবল থেকে মুক্তি পায়নি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে, সম্প্রতি বেশ কিছু বিভাগ সেশনজট কমিয়ে আনলেও কয়েকটি বিভাগে সেশনজট দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে, শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বিভাগের যেসব বিভাগে সেশনজট রয়েছে তাদের মধ্যে উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্ট্যাডিজ বিভাগ অন্যতম। ওই বিভাগের প্রত্যেকটি ব্যাচই জটে পড়েছে। তবে, সব থেকে বেশি জটে পড়েছে ২০১৩-১৪ সেশনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। তাদের ভর্তি হওয়ার সাড়ে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও তাদের স্নাতক শেষ হয়নি। এমনকি কবে শেষ হবে তারও নির্ধারিত সময় জানা নেই শিক্ষার্থীদের। অথচ ওই ব্যাচে ভর্তি হওয়া অর্থনীতি, মার্কেটিং, ফিনান্স, ম্যানেজমেন্ট, একইউন্টিং, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স শেষ হয়েছে। আর অন্য বিভাগগুলোর মাস্টার্স শেষের দিকে।

শিক্ষক স্বল্পতা, শিক্ষকদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, সমন্বয়হীনতা, শিক্ষকদের আদর্শিক দ্বন্দ্ব, দায়িত্বহীনতা, জবাবদিহিতা না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ওই বিভাগে সেশনজট দীর্ঘ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, বিভাগটিতে সাতজন শিক্ষকের মধ্যে চারজন নারী। বিভাগের নারী শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করতে পারেন না। ফলে সেশনজট দীর্ঘ হচ্ছে।

এদিকে, সেশনজটকে কেন্দ্র করে নিয়মিতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অসায়ত্বের কথা তুলে ধরছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল তেমনি একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন উইমেন এন্ড জেন্ডার স্ট্যাডিজ বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনে ভর্তি হয়ে সেশনজটে আটকে থাকা শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন। আব্দুল মোমিন সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন সন্তান। বর্তমানে পরিবারের একমাত্র উপার্জনাক্ষপ ব্যক্তি তার পিতা অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন। তার মা’ও ভুগছেন জটিল সব রোগে। এমতাবস্থায় পরিবারের জন্য কিছুই করতে না পারার যন্ত্রণা তাড়া করছে তাকে।

আব্দুল মোমিনের ওই পোস্টে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন তার সহপাঠীসহ পরিচিতজন। আব্দুল মোমিনের মতো অনেকই একই ধরনের সমস্যায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এসএইচ/