ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় মা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২৬ পিএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১১:০০ এএম, ১২ জুন ২০১৯ বুধবার

মা বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটি কোমল, দরদি, স্নেহশীল, মমতাময়ী নারী। মা শব্দটি মুখে উচ্চারণ করার আগেই মনের মণিকোঠায় নাড়া দেয় মা। মা বলতে আমরা বুঝি সেই মমতাপূর্ণ, ধৈর্যশীল, আত্মোৎসর্গকারী, সরল, ত্যাগী, সে আমার মা, সে আমার বাবার স্ত্রী। আর এ সবকিছুর ভিড়ে হারিয়ে যায় মায়ের ব্যক্তিপরিচয়, মায়ের ভালোলাগা-মন্দলাগা, মায়ের ইচ্ছা, মায়ের স্বাধীনতা। মা যখন মা হন, মা তখন আর নিজের থাকেন না, মা হয়ে যান সন্তানের, পরিবারের।

সন্তানের মা হওয়ার পর মা শব্দটি তার কানে বেজে উঠলেই মা সবকিছুর মধ্যে হারিয়ে যান। মায়ের নিজের ইচ্ছা, আকাক্সক্ষা, সুখ-দুঃখ বলে আর কিছুই থাকে না। সন্তানের ইচ্ছাই তখন মায়ের ইচ্ছা। সন্তানের পছন্দই তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মায়ের কাছে। সন্তানের বিজয়ে মা গর্ববোধ করেন, সন্তানের ভালো কাজ মায়ের অহংকার। সন্তানের খুশিতে খুশি হন, সন্তানের দুঃখে দুঃখী হন। একজন মা নিজের ভেতর জন্ম দেন আরেকটি জীবন, যা পৃথিবীতে শুধু একজন নারীর পক্ষেই সম্ভব।

আধুনিক বিশ্বে মে মাসের আধুনিক বিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার টিকে মা দিবস` হিসেবে পালন করা হচ্ছে,যার সূত্রপাত ১৯১৪ সালের ৮ই মে থেকে৷ সঙ্গে উপহার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা কার্নেশন ফুল৷ তাঁরা যে সন্তানের মুখে শুধুমাত্র মা` ডাক শুনতে পেলেই জীবনের পরম উপহারটি পেয়ে যান৷

প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়৷ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম মা দিবস উদযাপন শুরু হয় গ্রিসে৷ গ্রিকরা তাদের মাতা-দেবি রেয়ার নামে পূজা করত৷ ১৯১৩ সালে অ্যামেরিকান কংগ্রেস মা দিবসকে সরকারিভাবে পালনের অনুমতি দেয়৷ তারপর থেকেই বিভিন্ন দেশে মা দিবস উদযাপন শুরু হয়৷ তবে মা দিবস উদযাপনের প্রথম ভাবনাটি এসেছে অ্যামেরিকান সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্ডের মাথা থেকে৷

মা যে পেশায় থাক না কেন। যত কুশ্রীই হন না কেন সন্তানের কাছে মা দেবীর মতো। ইসলাম ধর্মে উল্লেখ করা হয়েছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। এছাড়া সকল ধর্মে মায়ের সমান মর্যাদা দিয়েছে।

ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং বলেছিলেন,মাতৃত্বেই সব মায়া-মমতা ও ভালোবাসার শুরু এবং শেষ। আপনার প্রিয় খাবার, প্রিয় বই, প্রিয় রঙ, প্রিয় পোশাক-আপনার জীবনের ছোটখাটো বিষয়গুলো, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বহীন বিষয়গুলোও কিন্তু আপনার মায়ের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবুও আমরা কেন যেন মাঝেমধ্যে মায়ের ব্যাপারে খুব উদাসীন হয়ে পড়ি; ধরেই নিই, মা তো আছেই, তাকে নিয়ে এতো হৈচৈয়ের কী আছে? তবুও প্রতিটি সন্তানের দায়িত্ব মায়ের প্রতি আন্তরিক হওয়া।


টিআর/