ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

মানব সেবায় নার্সিং বড় উদাহারণ: এ আর খান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৫ পিএম, ১২ মে ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ১২ মে ২০১৯ রবিবার

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ন্যায়পাল মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক এ আর খান বলেছেন, নার্সিং শুধু একটা প্রফেশন নয়, এটা একটা ভোকেশন। মানব সেবায় নার্সিয়ের চেয়ে আর বড় কোনো উদাহারণ হতে পারে না। মানুষ যখন অসুস্থ হয়, তখন তার সুস্থতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেয়ামক হলো তার সেবা। সে ঠিকমতো ওষুধ খেলো কি-না, ঠিকমতো সে খাচ্ছে কি-না, সে ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছে কি-না, সর্বোপরি তার পাশে থেকে, তাকে সহানুভুতি দিয়ে সুস্থ করে তুলার জন্য যে উৎসাহ উদ্দীপনা, সেটা বিশেষ প্রয়োজনীয়। যেটা ডাক্তার বা সার্জনরা করতে পারেন না।

রোববার দুপুরে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে (৩য় তলায়) নার্সিং সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ১২ জন নার্সকে মাহবুব-উজ-জামান অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক এ আর খান বলেন, ফ্লোরেন্স নাইটিংঙ্গেল আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে, তাদের সঙ্গে মৃদু হাসি হেসে তাদের সেবার মাধ্যমে বেঁচে থাকার জন্য যেভাবে উৎসাহ দিয়েছেন, সুস্থ করে তুলেছেন, তাতে এটা প্রতিষ্ঠিত হয় যে, নার্সিংয়ের চেয়ে বড় কোন উদাহরণ হতে পারে না।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ন্যায়পাল মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক এ আর খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তক ও সমিতির ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য মাহবুব-উজ-জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক জাফর আহমেদ লতিফ।

অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তক ও সমিতির ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য মাহবুব-উজ-জামান বলেন, নার্সরা প্রতিদিন-রাত প্রতি মাস-রাত, প্রতিবছর-রাত, এক কথায় সারাটা জীবন তারা মানুষের সেবা করার জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন। তাই তাদের ভূমিকাটা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের চিন্তা করা দরকার। আর সে জন্যই আমি এগিয়ে এসেছি নার্সদের সেবা করার ব্যাপারে।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলেছিলেন সংখ্যাটা বাড়ানোর কথা। আমি যখন শুরু করি, তখন সে সংখ্যাটা ছিল মাত্র পাঁচজন। আমার ধারনা ছিল যে, এই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সারা বাংলাদেশে সব হাসপাতালেই এটা চালু করবে, কিন্তু সেটা হচ্ছে না। তারপর আমি এটাকে ১২ জনে নিয়ে এসেছি। তারপরও যেহেতু অনেকেই দাবি করছেন এই সংখ্যাটা আরও বাড়ানোর জন্য, সেহেতু এটাকে আরও তিনজন বাড়িয়ে মোট ১৫ জনে উত্তীর্ণ করবো।

এর আগে নার্সিং সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ১২ জন নার্সকে মাহবুব-উজ-জামান অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ প্রদান করা হয়। বারডেম, এনএইচএন, বিআইএইচএস, ইব্রাহিম কার্ডিয়াকসহ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের মধ্য থেকে নির্বাচন করে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি ক্রেস্ট, একটি সনদপত্র এবং নগদ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত নার্সরা হলেন- বারডেম জেনারেল হাসপাতালের- ময়না রানী ভাওয়াল, রমনী রোজারিও, লিপিকা রানী দাস, কলেতা চিসিম, এনিমিরা অধিকারী, হাসি রেবেকা গমেজ। ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের- মিতা রানী চক্রবর্তী, হালিমা আক্তার। ন্যাশনাল হেলথ্ কেয়ার নেটওয়ার্কের- আফরিন, মাহমুদা আক্তার। বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালের সাবিনা সুলতানা ও নন্দীতা চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য, ১২ মে নার্সিংসেবার পথিকৃৎ ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন। এ দিবসটি স্মরণেই প্রতি বছর সমিতির ১২ জন নির্বাচিত নার্সকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ, একটি ক্রেস্ট ও একটি সনদপত্র প্রদান করা হয়।

 

টিআই/এসএইচ/